কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ছাতিয়ান কালিতলা-দুর্গাপুর মাঠের নির্জন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃত আয়েশা খাতুনের (৫০) মরদেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের সুধিরাজপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা-দুর্গাপুর সড়কের মাঠের মধ্যে পৌঁছালে বাঁশের লাঠি দিয়ে তৈরি ব্যারিকেড দেখে হঠাৎ থেমে যায়। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রের মুখে অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ও চালককে জিম্মি করে ৩৮ হাজার টাকা এবং একজোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

ডাকাতির শিকার যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম (৪২), আইলচাড়া গ্রামের শাহবুল, শিঊলি খাতুন (৪৬), এবং ফেরদৌসি (৩২)।

ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি নির্জন মাঠের মধ্যে পৌঁছালে রাস্তায় পান বরজের কাঠি দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অ্যাম্বুলেন্সচালক কয়েকবার হর্ন দিলেও কাউকে দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পরই পান বরজের মধ্য থেকে চার-পাঁচজন লোক এসে চালককে মারধর করে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর গাড়ির মধ্যে থাকা তাদের চারজনের কাছ থেকে আরও ৩৪ হাজার টাকা ও একজোড়া কানের দুল নিয়ে নেয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে তাদের মারধরও করা হয়। এমনকি দুর্বৃত্তরা লাশের গলায় কোনো স্বর্ণের গহনা বা লাশের সঙ্গে টাকা-পয়সা আছে কিনা তাও তল্লাশি করে। সব শেষে তারা রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে দিলে তারা লাশ নিয়ে বাড়িতে ফেরেন।

এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, যে স্থানটিতে ঘটনা ঘটেছে সেটি গ্রামের একেবারে ভেতরের একটি রাস্তা। তবে ওই এলাকার মূল সড়কে পুলিশের পাহারা ছিল, যা স্থানীয়রা সবাই জানেন। গ্রামের ভেতরের এই রাস্তায় এমন ঘটনা এটিই প্রথম। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান।