জরাজীর্ণ ভবনে চলছে অফিসের কার্যক্রম, আতঙ্কে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেবা গ্রহীতারা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় যুব উন্নয়ন অফিসসহ সাত সরকারি দপ্তরের ভবনের ছাদের জরাজীর্ণ অবস্থা। জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সেবা নিতে আসা গ্রহীতারা ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে। মাঝে মাঝে উপরে ছাদ ধসে পড়ে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে ও দেয়ালের ফাটল দেখা দিচ্ছে। তবে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এর জরাজীর্ণ ভবন থেকে স্থানান্তর ও নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের উপজেলা যুব উন্নয়ন, সমবায়, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক,মৎস্য, মাধ্যমিক শিক্ষা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, হিসাব রক্ষক অফিস এই আটটি দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই পুরাতন তিন তলা ভবনটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এক পসলা বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ে নথিপত্র সহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সহ বিদ্যুতের ঝুঁকি, শর্ট সার্কিট দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ওই ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় প্রায় ছোট বড় পলিস্টার খসে পড়ছে। বিকল্প কোন ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সরকারি সেবা নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
যুব উন্নয়নের ঋণ উদ্যোক্তা মাহমুদা সুলতানা ও আজিজুল হক জানান, আমরা প্রতিমাসে যুব উন্নয়ন অফিসে আসি ঋণের টাকা জমা দিতে। কিন্তু এই ভবনের যে অবস্থা, যে কোন সময় আমাদের মাথার উপর ছাদ ধসে পড়তে পাড়ে। এই অফিস অনেক বিপদ জনক।
উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সামসুল হক জানান, আমার মাথার উপড়ে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত করছি। বৃষ্টি হলে নথি পত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভিজে যায়। এই জরা জীর্ণ ভবন থেকে আমরা স্থানান্তর চাই।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা জরাজীর্ণ ভবনে কাজ করতেছি। যেকোন সময় ভবনের ছাদ ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি ইউএনও স্যারকে এই জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি বারবার জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, ওই ভবন মেরামতের জন্য প্রপোজাল দিয়েছি। আশা করি ওই ভবনের কাজ আগামী সপ্তাহে করা হবে।
Comments