
কুমিল্লার লাকসামে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সোমবার (২৩ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মো. জহিরুল ইসলাম (৩৭)। তিনি লালমাই উপজেলার পেরুল (উত্তর) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশারের ভাতিজা এবং আলীশ্বর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে।
ওইদিন রাত ১০টায় লাকসাম পৌরসভার ভৈষকপালিয়া নামক স্থানে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি ও নিহতের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে যাওয়ার পর লালমাই হাইওয়ে থানাধীন লাকসাম ক্রসিংয়ের পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
অপরদিকে দুর্ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানটিতে বিক্ষুব্ধ লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ওই সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহন ও যাত্রীসাধারণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
ঘটনার পরপরই সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী মো. জহিরুল ইসলাম অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আলীশ্বর থেকে লাকসাম যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেলসহ কাভার্ড ভ্যানের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পেরুল (উত্তর) ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার জানান, তার বড় ভাইয়ের ছেলে জহির। সে কোরিয়া প্রবাসী। লাকসাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুর গ্রামের মৃত মো. সুরুজ মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, একটি ব্যস্ততম সড়কের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে অন্ধকারে কাভার্ড ভ্যানটি দাঁড়িয়েছিল। এতে কাভার্ড ভ্যানের পেছনে কোনো ধরনের সাংকেতিক আলো না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফলে বিক্ষুব্ধ লোকজন দাঁড়িয়ে থাকা ওই কাভার্ড ভ্যানটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে লালমাই হাইওয়ে থানার আওতাধীন লাকসাম ক্রসিংয়ের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তবে পুলিশ আসার আগেই দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি ও নিহতের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments