Image description

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় দুই সন্তানের জননী কে প্রবাসী এক যুবক ধর্ষণ করেছে। এমন অভিযোগ এনে গত ১৮ জুন বুধবার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নেত্রকোণায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং ২২২। মামলায় উপজেলার স্বল্প দশাল গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে রাব্বি (২৫) কে আসামী করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর নাম হাসি আক্তার (৩৩), তিনি একই গ্রামের সুলতান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। 

অভিযোগে জানা, দীর্ঘ দিন পর রাব্বি  মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছে। দেশে এসে ভুক্তভোগী নারীর ফোন নাম্বারে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত ১৬ জুন সোমবার  দিবাগত রাত ১১ ঘটিকায় সুযোগ বুঝে ঘরে ডুকে ওই নারী কে ধর্ষণ করে রাব্বি। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় হাসি আক্তারের স্বামী সুলতান মিয়া রাব্বি কে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে আশপাশের মানুষও বিষয়টি অবগত হয়।

ধর্ষিতা ওই নারী বলেন, রাব্বি আমাকে দেশে আসার পর থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো ঘটনার দিন রাতে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ছুরি দিয়ে মেরে ফেলবে বলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি গরীব মানুষ, এখন আমার স্বামী বলছে আমাকে নিয়ে সংসার করবে না। ঘটনার দিন রাতে রাব্বির বাবা বলেছিলো তারা আমাকে ৪ লক্ষ টাকা দিবে। কিন্তু সকাল বেলায় তারা আর আমার খবর নেয় নি। আমি এর বিচার চাই। 

ধর্ষিতার স্বামী সুলতান মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ব্র্যাক অফিসে একটি মামলা চলছে। রাগে অভিমানে বেশ কিছুদিন আমি আমার স্ত্রীর কাছে যাই না। ঘটনার দিন রাতে আমি গিয়ে দেখি রাব্বি আমার স্ত্রীর ঘর থেকে বের হচ্ছে। আর আমার স্ত্রী বলছে কাজটা ভাল করিস নি। পরে আমি তাকে গিয়ে ধরে ফেলি। পরদিন আমার স্ত্রী তাদের ভয়ে আমার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছে। 

ধর্ষিতার ভাই হুমায়ুন মিয়া বলেন, ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার বোন জামাই ও রাব্বি এক সাথেই গাঁজা খায়। ঐ দিন তাকে (বোন জামাই কে) খুঁজতে এসে না পেয়ে আমার বোনের কাছে গাঁজা খাওয়ার জন্য নারকেলের ছোবা চেয়েছিলো। এমন সময় রাব্বি কে আমার বোন জামাই ধরে ঘরের ভিতর ডুকে পড়ে। আমার বোনের সাথে সুলতানের একটি মামলা চলছে। এটা তার (সুলতানের) কোন ষড়যন্ত্র হবে। 

রাব্বির বাবা হেলাল মিয়া বলেন, এটা সুলতানের ষড়যন্ত্র। ঘটনার পর দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে সালিশ দরবার হওয়ার কথা। তার স্ত্রী কে ডিভোর্স দিতে তার ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন। এই টাকা হয়তো তার দেয়া সম্ভব নয় তাই সে নাটক সাজিয়েছে। রাব্বি কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। 

স্থানীয়রা বলেন রাব্বি ছেলে ভাল কিন্তু গাঁজাখোর। তার বাবা হেলাল মিয়ার নামেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত নেত্রকোনায় ১৬ জুন ২০১৩ সালের একটি মামলা বিচারিক প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যার মোকদ্দমা নং ৩৬৫।