অতি বৃষ্টিতে নড়াইলের লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা আঞ্চলিক সড়কের জালালসী এলাকায় ধসে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সড়ক বিভাগের আন্তরিক চেষ্টায় সংস্কার করে সাড়ে ৪ঘন্টা পর যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলে। যার ফলে যানবাহনসহ ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে লোহাগড়া-নহাটা সড়কের নলদী ইউনিয়নের জালালসী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার পাশে রাস্তা ধ্বসে যায়। রাস্তাটি পুরোপুরি ধসে গিয়ে সেখানে ৩/৪ ফুট গর্ত হয়ে যায়। যার ফলে ভারী ও সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চলাচল করতে পারেনি। 

জালালসী গ্রামের শাহীন জানান, নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এই সড়কের উত্তরপাশের বাসিন্দাদের পানি নিষ্কাশনের ওই স্থানে একটি পাইপ বসানো ছিলো। কিন্তু অতিবর্ষনের কারনে পাইপের পাশের মাটি বৃষ্টিতে ক্ষয় হয়ে ভীতরে ফাঁকা হয়ে যায়। এক পর্যায়ে রাস্তার ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি ধসে যায়।

জালালসী গ্রামে প্রিন্স জানান, সড়কটি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ধসে গিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনকে জানানো হয়। বন্ধের দিন হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়ে এসে সংস্কারের কাজ শুরু করে। ইট ও বালু এনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান মেরামত শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কাজ শেষ হলে চলাচল আবার শুরু হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া স্থানটি মেরামত করায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

নলদী বাজারের হোমিও চিকিৎসক মুক্তি প্রসাদ চট্টোপাধ্যয় বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে নলদী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার মহাম্মদুর থানার অনেক এলাকার মানুষ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। তাছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে নলদী বাজারে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল এই সড়ক দিয়ে ট্রাকে আনা নেয়া করে। সড়কটি বন্ধ থাকলে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হতো। সড়ক বিভাগ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় মানুষের কষ্ট কমেছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘লোহাগড়া-নহাটা-কালিশংকরপুর সড়কের জালালসী এলাকায় কিছু অংশ ধসে যাবার খবর শোনার পর নির্বাহী প্রকৌশলী  মোঃ নজরুর ইসলাম এর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে এসে দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি চালু করতে পেরে আমরা খুশি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থানসহ সড়কের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’