Image description

নেত্রকোনার মদনে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ছয় বছরের এক শিশুর রক্তাক্ত দেহ গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত শিশুর নাম শোয়াইব। সে দেওসহিলা গ্রামের সবুল্লাহর ছেলে। 

নিহত শিশুর বাবা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে শোয়াইব বাড়ির পাশের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের বনার চৌধুরীর গোয়ালঘরে শোয়াইবের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়। 

শোয়াইবের বাবা সবুল্লাহর অভিযোগ, "আমার নিষ্পাপ ছেলেকে কেন হত্যা করা হয়েছে জানি না। আমাদের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। আমি এর বিচার চাই।"

শিশুটির শিক্ষক পলাশী আক্তার জানিয়েছেন, শোয়াইব প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে তার কাছে পড়তে আসে। সে বই রেখে পাশের জাহাঙ্গীরের দোকানে মজা আনতে যায়। কিন্তু ফিরতে দেরি হওয়ায় তিনি কেজি স্কুলে চলে যান। পরে শোয়াইবের মৃত্যুর খবর পান তিনি।

গোয়ালঘরের মালিক বনার চৌধুরী দাবি করেন, সকালে গোয়াল পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি শোয়াইবকে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি শিশুটিকে ধরে কোনো সাড়া না পাওয়ায় চিৎকার শুরু করেন। এতে পরিবারের লোকজন এসে শোয়াইবকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, দেওসহিলা গ্রামে শিশু শোয়াইবের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে।