Image description

পাঁচ বছরের ফুটফুটে শিশু শাফায়াত। মায়ের কোল ছেড়ে খেলতে যাওয়ার সময় কিংবা বাবার হাত ধরে স্কুলে ছুটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার বয়স এখন তার। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন থমকে গেছে হাসপাতালের বিছানায়। জীবন রক্ষার লড়াইয়ে সে আজ বিধ্বস্ত। কারণ, ছোট্ট এই শিশুটি আক্রান্ত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর ও ব্যয়বহুল মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে।

শাফায়াত বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও শারমিন আক্তার দম্পতির ছেলে। তিনটি পরিবারের একমাত্র আশার আলো সে। দেড় বছর আগে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। তখনই ধরা পড়ে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে প্রাণঘাতী ব্লাড ক্যান্সার।

তখন থেকেই শুরু হয় সন্তানকে বাঁচানোর মরিয়া প্রচেষ্টা। কখনো বগুড়া, আবার কখনো ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার খরচে একসময় থেমে যেতে বাধ্য হয়েছেন তার বাবা-মা। সন্তানের চিকিৎসা করাতে বাবা হারিয়েছেন চাকরি, বিক্রি করেছেন নিজেদের মোটরসাইকেল, স্বর্ণালঙ্কার, এমনকি গোয়ালের গরু। তবু সন্তানের চিকিৎসা করাতে আজ প্রায় নিঃস্ব পরিবারটি।

ডাক্তার জানিয়েছেন, চিকিৎসা না পেলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই শাফায়াতের শরীরে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা: মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, সারা শরীরে ফুসকা, দুর্বলতা। এখন এমন পর্যায়ে যে প্রতিটি মুহূর্ত যেন মৃত্যুর আশঙ্কায় ঘেরা।

শাফায়াতের বাবা মামুনুর রশিদ বলেন, সন্তানকে বাঁচাতে আমি প্রায় নিঃস্ব। তাই সরকার বা সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষদের একটু সহায়তা পেলেই হয়তো ওকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে পেতে পারি।

এই বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাইফুর রহমান বলেন, শাফায়াতের ব্যাপারে আমরা অবগত। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারিভাবে অনুদানের সুযোগ রয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি এখন একটাই অনুরোধ, এই শিশুটির জীবন ফিরে পেতে সাহায্য করুন। হয়তো আপনার একটুখানি সহানুভূতি বদলে দিতে পারে তার পুরো জীবন। বাবা-মা ফিরে পেতে পারে তাদের সন্তান। 


সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন: 
শাফায়াতের পিতা: মামুনুর রশিদ 
বিকাশ/নগদ নম্বর: ০১৭৩৭৭৭৮৫৮৮