প্রকল্পের কাজ বাকী রেখেই বরাদ্দ উত্তোলন ইউপি সদস্যের

নেত্রকোণার বারহাট্টায় সরকারের কাজের বিনীময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচীর একটি প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বরাদ্দের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার কাশতলা নায়েবের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা হতে সাইদুল মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পূণঃনির্মাাণের জন্য সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৪-২৫ অর্থবছর ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দদান করা হয়। সামান্য কাজ করেই এই টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্রকল্প কমিটির (পিআইসি) সভাপতি মোঃ আব্দুস ছাত্তার। বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উবায়েদ উল্লাহ্ খান।
স্থানীয়রা বলেন, আগের রাস্তাটিই সুন্দর ছিলো। এই রাস্তার কিছু কিছু জায়গা দু'পাশ থেকে গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি তুলে উঁচু নিচু স্থানগুলো সমান করা ছাড়া আর কোন কাজ করা হয় নাই। প্রকল্পের শুরুতেই নাই মাটি কাটা বা উন্নয়নের ছাপ। একটি ভেকু মেশিন দিয়ে আনুমানিক ৩ ঘন্টার মতো মাটি কাটতে স্থানীয়রা দেখেছে।
কাশতলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি। রাস্তাটির জন্য আমরা খুব কষ্টে আছি। গত চৈত্র মাসে স্থানীয় মেম্বার একটি ভেকু মেশিন দিয়ে আমাদের আগের রাস্তাটি একটু সমান করে গেছে। এতে আমাদের আরও ভোগান্তি বেড়েছে। আমার বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি পুকুরের পাড়ে ২০ হাত জায়গায় অল্প সময় মাটি কেটেছে। তবে পুরো রাস্তায় সব মিলিয়ে মাটি কাটার কাজ শেষ করতে সময় ৩ ঘন্টার বেশি হবে না।
কাশতলা গ্রামের ঝুমন লাল বলেন, এই রাস্তায়য় ভেকু মেশিন দিয়ে মেম্বার সাহেবে মাটি কেটেছে। বেশির ভাগ জায়গা ভেকু দিয়ে সমান করে দিয়েছে। জঙ্গলের পাশে রাস্তাটি উঁচু করার দরকার ছিলো।
ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতি মোঃ আব্দুস সাত্তার বলেন, রাস্তার শুরুতে নায়েবের বাড়ির পাশে কেউ মাটি দিতে রাজি হয়নি। আমি দূর থেকে মাটি এনে রাস্তার কাজটি করেছি। কিছু কাজ বাকী আছে। বর্ষার জন্য কাজটি শেষ করতে পারিনি। পরবর্তীতে বাকী কাজটি আমি নিজে করে দেবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ খান বলেন, নায়েবের বাড়ি হইতে ক্ষত্রিয় পাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি পুণঃ সংস্কার করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছু জায়গায় ফিনিশিং দেওয়ার বাকী আছে। এই প্রকল্পের বরাদ্দ (বিল) দেওয়া হয়ে গেলেও এই মেম্বারের নামে আর একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। রাস্তার ফিনিশিং এর কাজটি শেষ না করলে চলমান প্রকল্পের বিল আটকে রাখা হবে।
Comments