বাউফলে বিদ্যুৎ নিয়ে চরম জনদুর্ভোগ : বিদ্যুৎ যায় না, আসে মাঝে মধ্যে

জাতীয় গ্রিডে ঘাটতি না থাকলেও পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। টানা দুই দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে উঠেছে। ৩০-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপদাহে মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় অতিরিক্ত গরম ও ঘামে বাড়ছে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ। বৃদ্ধরা পড়ছেন নানা শারীরিক সমস্যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত লোডের কারণে বাউফল জাতীয় গ্রিড থেকে বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
গ্রাহকরা জানান, গত দুই রাতেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর পুরো রাত থাকে না। সকালে এসে কিছু সময় থেকে আবার চলে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলে এক থেকে দুই দিন পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে হিমায়িত খাদ্য নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর রোগীরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বাউফল সরকারি ডিগ্রী কে জের সাবেক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাউফলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেশি। এতে আমাদের নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখানে বিদ্যুৎ যায় না, আসে মাঝে মধ্যে।’
বগা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সারা রাত বিদ্যুৎ ছিল না। বা”চাদের নিয়ে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ইয়াসিন হোসেন বলেন, ‘রাতভর বিদ্যুৎ ছিল না। এতে অসুস্থতা আরও বেড়ে গেছে।’
একই হাসপাতালের রোগী মো. নজরুল প্যাদা বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে যেন চোর-পুলিশ খেলা চলছে। সারা রাত বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীরা ঘুমাবেন কীভাবে?’
বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, বুধবার (১১ জুন) রাতে একটি বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগে। পটুয়াখালী থেকে লোক এনে মেরামতে সময় লেগেছে। এছাড়া অতিরিক্ত লোডের কারণে গত সপ্তাহে মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং হয়েছে।’
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. আবুল কালাম বলেন, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। ব্যবস্থাপনা ও ভৌগোলিক সমস্যার কারণেই সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
Comments