ভাগ্য বদলের আশায় গিয়েছিলেন দুবাই, প্রাণ গেল সড়ক দুর্ঘটনায়

ভাগ্য বদলের আশায় ১ বছর আগে দুবাই পাড়ি জমিয়েছিলেন মো. নুরুল আবছার রুবেল (২৯)। নতুন একটি কোম্পানির চাকরিতে নিয়েছিল। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যোগদানের আগেরদিন রাতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া রুবেলের মৃত্যু খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে তার সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজনসহ পুরো এলাকায়।
শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত দুইটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল কাসিমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। রুবেল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া জাকিরপাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে। সে নোয়াপাড়া হযরত ছয়পীর আউলিয়া রহ. স্মৃতি সংসদের প্রবাসী সদস্য।
নিহতের স্বজনরা জানান, চার ভাই এক বোনের মধ্যে রুবেল সবার বড়। ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় দুবাই পাড়ি জমান। একটি রেস্টুরেন্টের কাজ করত; কিছুদিন আগে একটি নতুন চাকরিও নিয়েছিল অন্য একটি কোম্পানিতে। গত ৭ জুন (শনিবার) ঈদেরদিন বাংলাদেশ সময় রাত বারটোর দিকে দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন রুবেল। ৬ দিন আইসিইউতে ছিলেন। সবশেষ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত দুইটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল কাসিমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
নিহতের ফুফাতো ভাই আলী আজম বলেন, ‘একটি কোম্পানীতে চাকরি করত সে; সেটা ছেড়ে একটি নতুন চাকরিও নিয়েছিল বলে খুশিমনে আমাদের জানিয়েছে। নতুন চাকরিতে যোগদানের আগের দিন রাতে একটি মার্কেটের সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয়।’
নিহতের প্রতিবেশী ও নোয়াপাড়া হযরত ছয়পীর আউলিয়া (রহ.) স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ সবুর বলেন, ‘এই গ্রামের অনেকেই বিভিন্ন দেশে রয়েছেন। যারা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিদেশ গমন করেছেন। ঠিক নুরুল আবছার রুবেলও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দুবাই গিয়ে এক বছরের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল। সত্যিই দুঃখজনক। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সম্ভব ছেলেটিকে হারিয়ে তার মা-বাবা প্রায় অজ্ঞান। সংসারের হাল ধরতে সে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিল। তবে ভাগ্য তার সহায় হয়নি। লাশ দেশে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।’
Comments