হাজারো মানুষের শ্রদ্ধায় সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের জানাজা সম্পন্ন

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সহযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ দল-মত নির্বিশেষে সমবেত হন।
রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নয়ন কুমার রাজবংশী এবং জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
জানাজার পূর্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজার সময় উপস্থিত ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য সদস্য ও সাধারণ জনগণ। সর্বস্তরের মানুষ মরহুমের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদনে একত্রিত হন।
জানাজা শেষে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ এই রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধা গত শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে তিনি সপরিবারে আত্মগোপনে ছিলেন। মৃত্যুর পর শুক্রবার রাতেই তাঁর মরদেহ নিজ বাসভবনে আনা হয়।
সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান এবং শিক্ষা প্রসারে কার্যকর উদ্যোগ তাকে মানুষের হৃদয়ে অমর করে রাখবে।
তবে জানাজা ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের লক্ষ করা গেছে।
Comments