Image description

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সালমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে নলদী ইউনিয়নের গগাছবাড়িয়া গ্রামে মেয়েটির বাবার বাড়ি এলাকায় সালমা আক্তারের নিজ বাড়ির পাশ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর ওই গৃহবধুর স্বামী শহিদুল পলাতক রয়েছে।

নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পারিবারিক ও দাপ্তত্য কলহের কারনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। অভিযুক্ত শহিদুল লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়ার সালাম মোল্যার ছেলে। নিহত সালমা আক্তার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সালমা আক্তারের বাপের বাড়ি উপজেলার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়াতে আসেন গৃহবধুর স্বামী শহিদুল। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঘরের পাশে সালমার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ও স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে দুপুরে নলদী পুলিশ ফাঁড়ি ও লোহাগড়া থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় একাধিকসুত্রে জানাগেছে, শহিদুলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সালমার মোবাইলে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সালমাকে তার পিতার জমির ওপর একটি সিনসেডের ঘর করে দেয় শহীদুল। সালমা ওই বাড়িতে তার পূর্বের পক্ষের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। শহিদুল প্রবাসে থাকতো। সম্প্রতি পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে দেশে চলে আসে। শহীদুলের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান থাকায় সালমাকে গোপনে বিয়ে করে। শহীদল সালমার বাড়িতে রাতের বেলায় গোপনে আসা-যাওয়া করতো।

সালমার বোন শুকুরোন জানান, সালমা তার স্বামী শহিদুলকে বিয়ের বিষয়টি তার বাড়িতে জানাতে বলে। বিষয়টি শহীদুল বাড়িতে জানানোর পর পারিবারিক অশান্তিতে ভোগে শহীদুল। 

নিহত সালমার মা জাহানারা বলেন, ‘আমার মেয়ের ঘরে জামাই শহিদুল বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় এসেছিলো। কিছুক্ষণ পর চলে গিয়ে পুনরায় রাতে আসে। এরপর আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। সালমার একটি মেয়ে এতিম হয়ে গেলো। আমার মেয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়ছে।  ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।