Image description

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিয়েবাড়িতে খাবার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। 

সোমবার (৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গুদাশিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন নারীসহ দুপক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস আগে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চর শোভাগাছা এলাকার আমিনুর আকন্দের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক তারেকের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পোশাক শ্রমিক আসাদুল ইসলামের মেয়ে আর্জিনার। বিয়ের সময় মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়নি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই হিসেবে মেয়ের বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে দেওয়ার খাবারের আয়োজন করেন।

এ অনুষ্ঠানে পাড়া প্রতিবেশীদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়। নিমন্ত্রিত অতিথিদের দুপুর থেকে খাওয়ানো শুরু হয়। বরপক্ষের লোকজন বিকেল ৫টার দিকে আসেন বিয়ে বাড়িতে। তারা এসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেন। এ সময় বরপক্ষের লোকজন প্রচুর পরিমাণে খাবার নষ্ট করছিলেন বলে অভিযোগ করেন কনে পক্ষের লোকজন। মেয়ের পক্ষের লোকজন তাদের খাবার নষ্ট করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। এ সময় বরপক্ষের একজন ছেলে ও মেয়েকে আটকে রাখেন কনেপক্ষের লোকজন। পরে তারা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে ও তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেপক্ষের লোকজনদের উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।