
মে মাস থেকে জুন মাস অব্দি পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সাইবার সেলের মাধ্যমে ৭০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। চলমান প্রক্রিয়ায় আরও ৫টি মোবাইল উদ্ধারের কাজ চলছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৪৯ হাজার টাকা। আজ ২১ জন পুরুষ ও ১ জন নারী তাঁদের হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১২ টার সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয় উদ্ধারকৃত মোবাইল গুলো হস্তান্তর করা হয়।
মোবাইল ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত আব্দুস সালাম বলেন, “গত জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ আজাহারি সাহেবের মাহফিলে অংশ নিতে গিয়ে আমার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। পুলিশের জোরালো তৎপরতায় মোবাইলটি ফিরে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে।”
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃআনোয়ার জাহিদ জানান, গত মে মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোবাইল হারানোর ঘটনায় বেশ কিছু মিসিং ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এসব জিডির ভিত্তিতে ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় মোট ৬৯ টি মোবাইল উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। মোবাইলের পাশাপাশি প্রায় ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের সফল অভিযানে জনগণের পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতারক ও চোর চক্রের সদস্যরাও সতর্ক হচ্ছে, ফলে ধীরে ধীরে অভিযোগের পরিমাণও কমে আসছে।”
উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, “কোনো মোবাইল হারালে অবশ্যই আইএমইআই নম্বরসহ জিডি করতে হবে। সেই নম্বরের ভিত্তিতে আমরা নির্ধারণ করি কোথায় কোন সিম ব্যবহার হচ্ছে এবং সেই তথ্যের মাধ্যমে চোরকে শনাক্ত করি। সাধারণত এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মোবাইল উদ্ধারে আমরা সক্ষম হই।”
তিনি সকল নাগরিককে পুরনো মোবাইল ক্রয় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “পুরনো মোবাইল কিনলে অবশ্যই আইএমইআই নম্বরসহ প্রকৃত মালিক যাচাই করে নিতে হবে। সবাই সচেতন হলে মোবাইল চুরির প্রবণতাও ধীরে ধীরে কমে যাবে।”
পটুয়াখালী জেলা পুলিশের এই সাফল্য শুধু প্রযুক্তিগত সক্ষমতারই প্রমাণ নয়, বরং জনসাধারণের সেবায় আন্তরিকতারও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
Comments