Image description

গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা প্লাবিত হচ্ছে বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ উপজেলার অন্তত: ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন পানির নিচে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঢলের পানিতে ভেসে গেছে খামারিদের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি।

আবার উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। এর পানিও নেমে আসছে। এ অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশীরভাগ এলাকা অংশ ডুবে গেছে। সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বন্যার আশঙ্কায় বিয়ানীবাজারে ৬৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এদিকে আবার ক্ষনে ক্ষনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি। বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের একাধিক স্থানে পানি ওঠেছে। কুশিয়ারা ও সুরমা তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরোও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৈরাগীবাজারের মূল এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৪৪ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১৪৫ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ আছে। আমরা প্রকৃত বন্যার্ত পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো।