গাজীপুরে স্থানীয় পশুর হাটে উৎসবের আমেজ, তবে দামে অসন্তোষ ক্রেতারা

কোরবানির ঈদ আসন্ন হওয়ায় স্থানীয় পশুর হাটগুলোতে প্রাণবন্ত অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কোরবানির উৎসবের আবহ সৃষ্টি করছে। তবে, পশুর মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা হতাশ হয়ে হাট থেকে ফিরে যাচ্ছেন। ঘুরছেন এক হাট থেকে আরেক হাটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পূবাইল বাজারের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাটে সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। দেশি জাতের ষাঁড়, বলদ, গাভী এবং ছাগলসহ বিভিন্ন আকৃতির পশু হাটে প্রদর্শিত হচ্ছে। আশপাশের অন্যান্য হাটেও একই দৃশ্য দেখা গেছে।
সাপ্তাহিক দুই দিনব্যাপী এই হাটের আজ ছিল দ্বিতীয় ও শেষ দিন। হাটজুড়ে দেশীয়ভাবে লালন-পালন করা গরুর আধিক্য ছিল এখানে। ওজন ৩ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত পশু বিক্রি হচ্ছে, তবে বিক্রেতাদের মতে, মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি।
স্থানীয় খামারি ফারুক মিয়া বলেন, “সারা বছর অনেক কষ্ট করে গরু লালন করেছি। খোরাকের দাম অনেক বেড়েছে। পরিবহন খরচও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই দাম একটু বেশি রাখতে হচ্ছে।”
অন্যদিকে, দামের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। হাটে আসা অনেকেই জানান, গত বছরের তুলনায় এবারে একই ধরনের গরুর দাম ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি চাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, “একটা ১০ মণের গরু চাচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অথচ গত বছর এমন গরু কিনেছি ১ লাখে।”
যেহেতু ঈদুল আজহা ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে, স্থানীয় পশুর হাটগুলো আরও জমজমাট হয়ে উঠছে। তবে দামের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি ও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। বিক্রেতারা তাদের খরচের কথা উল্লেখ করছেন, এবং ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যে কোরবানির পশু ক্রয়ের আশা করছেন। এখন দেখার বিষয়, ঈদের আগের দিনগুলোতে পরিস্থিতির কী রূপ নেয়।
Comments