
টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান। সোমবার (২ জুন) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট পাঁচটি জেনারেটর রয়েছে। বর্তমানে এর মধ্যে চারটি জেনারেটর থেকে ১৫৫ মোগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে চালু রয়েছে ১,২,৪ ও ৫ নং জেনারেটর।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পানি রির্জাভ থাকার কথা ৮৭.৪৫ ফুট এবং কাপ্তাই হ্রদে পানির রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৭৬.২৬ ফুট মীন সী লেভেল (এমএল)। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৮ ফুট মীনস সি লেভেল।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে ১৯৬০ সালে খরস্রোতা কর্ণফুলি নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হয় কাপ্তাই বাঁধ। সৃষ্টির পর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, নৌ যোগাযোগ, জলে ভাসা জমিতে কৃষি চাষাবাদ, সেচ, ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। কিন্তু সৃষ্টির পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের কোনো সংস্কার, ড্রেজিং বা খনন করা হয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে নামা পাহাড়ি ঢলে পলি জমে এবং নিক্ষেপ করা হাজার হাজার টন বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হ্রদের তলদেশ। এতে নাব্যতার সংকটে অস্তিত্বের সম্মুখীন এই হ্রদ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় হ্রদ ঘিরে তৈরি হয় নানা সংকট।
Comments