
লালমনিরহাটের আলোরুপা মোড় এলাকায় অবস্থিত জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার (৩১ মে) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জাপা নেতারা জানায়, রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে জাপা কার্যালয় ছেড়ে যায় নেতাকর্মীরা। পরে রাত ১১টার দিকে ১৫-২০ জন জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো শেষে আগুন দেয়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। জাপা নেতারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লালমনিরহাটের বিডিআর গেটগামী পথচারী শফিকুল আলম বলেন, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় দেখলাম দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
লালমনিরহাট পৌর জাপার আহ্বায়ক আলমগীর চৌধুরী বলেন, জাপা কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে। ভেতরে থাকা আলমারি, চেয়ার, টেবিলসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। এছাড়া পার্টির অফিসে থাকা টিভিসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পরে কিছু চেয়ার কার্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এনে ভেতরে ও বাহিরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি। দ্রুতই থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলা পার্টির দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, রাত আটটা দিকে আমরা কার্যালয় থেকে চলে গিয়েছি। পরে রাত ১১ টার পরপর টেলিফোনে শুনলাম আমাদের কার্যালয়ে কে বা কারা ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন লাগিয়েছে। আমরা এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে জাপার অবস্থান ও অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন দেশ আমরা চাইনি। জাতীয় পার্টির হিংসার রাজনীতি করেনা। দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, জাপা কার্যালয়ের বিষয়ে শুনেছি। ওই স্থানে পুলিশ গিয়েছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবরে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় দ্রুত জাপা কার্যালয়ের আশপাশের মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ করেছে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ওই এলাকার পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে।
Comments