Image description

পর্যটকদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা ও নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য স্টুডিও মালিক ও ফটোগ্রাফারদের উভয়কে দরকার উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফাররা। 

রবিবার (১লা জুন) সকাল ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফটোগ্রাফারদের পক্ষে মো: মোখলেসুর রহমান নামের এক ফটোগ্রাফার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, মূলত গত ৩১/০৫/২০২৫ তারিখে পর্যটন হলিডে হোমসের হলরুমে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোনো স্টুডিও থাকবে না এবং ওটিজির মাধ্যমে ছবি ট্র্যান্সফার করার নির্দেশ প্রদান করেন। যেটা সম্পূর্ণ তার একক চিন্তা ভাবনা। কুয়াকাটা সী-বীচে ছবি তোলার মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সৈকতের অনেক ফটোগ্রাফার হত দরিদ্র, তাদের কোন পুঁজি নেই, স্টুডিও মালিকদের কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আমরা ছবি তুলি, পাশাপাশি পর্যটন মৌসুম ছাড়া বাকি দিনগুলোতে পরিবার নিয়ে জীবীকা নির্বাহের জন্য মালিকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাকি। এমতাবস্থায় যদি স্টুডিও না রাখা হয় তাহলে আমরা সৈকতের ২৫০ ফটোগ্রাফাররা বেকার হয়ে যাব।

এসময় তিনি আরো বলেন, (ইউএনও) স্যার শুধু যে অটিজির মাধ্যমে ছবি ট্র্যান্সফার করার কথা বলেছেন সেটা একদিকে যেমন ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, পাশাপাশি অনেক সময়েরও ব্যাপার। 
ওটিজির মাধ্যমে ছবি ট্র্যান্সফার করলে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দেয়;-
১। প্রতিদিন ক্যামেরা থেকে ৩-৪ বার মেমোরি কার্ড বের করলে তখন ক্যামেরার চেম্বার নষ্ট হয়ে যায় যা মেরামত করতে ঢাকায় যেতে হয়।  
২। ওটিজির মাধ্যমে ছবি দিলে অধিক সময় ব্যয় হয় এবং একদিনে একজনের অধিক পর্যটকের ছবি তোলা যায় না। 
৩। ওটিজির মাধ্যমে ছবি ট্রান্সফার করলে ছবির রেজুলেশন কমে যায় এবং বেশিরভাগ সময় ভাইরাসে ছবি নষ্ট হয়ে যায়।  
৪। অনেক পর্যটকদের ফোনে ওটিজি সাপোর্ট করে না তখন পর্যটকও ফটোগ্রাফারদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।  
৫। একজন পর্যটকের ছবি ট্রান্সফার না করে অন্য পর্যটক এর ছবি তোলা যায় না। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফটোগ্রাফার সদস্যরা জীবীকা নির্বাহের পাশাপাশি কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মানসম্মত সেবা দানের জন্য স্টুডিও মালিক ও ফটোগ্রাফারদের বাচিয়ে রাখতে সাংবাদিক ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। পাশাপাশি উপরোক্ত বিষয়সমূহ যতক্ষণে কর্তৃপক্ষ পুন্য-বিবেচনা না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কুয়াকাটা সী বিচের ফটোগ্রাফাররা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে হুশিয়ারি করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে স্টুডিও মালিক ও সৈকতের ২৫০ ফটোগ্রাফার সহ স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।