বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারি ভিডব্লিউবির (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) প্রায় ৮ টন চাল পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নশরতপুর খাড়িয়াকান্দি রাস্তার মোড়ে গোফ্ফারের দোকান ও গোডাউনে এই চাল পাচারের দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁপাপুর বাজারে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের পর সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে প্রথমে আনোয়ার হোসেন নামের এক ফড়িয়া ব্যবসায়ী চালগুলো কেনেন। এরপর সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় ভরে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করেন। পরে সেই চাল নশরতপুরের আব্দুল গোফ্ফার নামের আরেক ব্যবসায়ী কিনে নিয়ে নশরতপুর গ্রামে লুকিয়ে রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গোফ্ফার বুধবার সকালে ওই ৮ টন চাল তার নিজের দোকান ও গোডাউনে নিয়ে আসেন।

স্থানীয় লোকজন ও গণমাধ্যমকর্মীরা চালের বস্তা দেখে সন্দেহ হলে গোফ্ফারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তিনি চালের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবং আনোয়ারের কাছ থেকে চাল কেনার কথা স্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়।

এদিকে, ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ভিডব্লিউবির চাল বিতরণের পরপরই সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে সরকারি বস্তা বদলে ফেলা হয়।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আব্দুল গোফ্ফার দাবি করেন, তিনি আনোয়ারের কাছ থেকে চালগুলো কিনে তার দোকানে এনেছেন।

তবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, চালের বস্তায় সরকারি মোড়ক না থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে তাদের বাধা রয়েছে। তিনি আরও জানান, যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।