Image description

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় মাটি বিক্রি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেনকে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। 

নিহত জাকির হোসেন উপজেলার ৮ নম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের তিনতেড়ী এলাকার হাসানপুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাকালে জাকির ছিলেন একজন প্রভাবশালী যুবলীগ কর্মী। তবে সরকার পতনের পর তিনি কিছুদিন তাবলিগে যান। ফিরে এসে এলাকায় ক্ষমা চেয়ে পুনরায় বসবাস শুরু করেন। এরপর মাটির ব্যবসা শুরু করেন।

জাকির প্রতিটি ট্রাক মাটি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতেন। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী চক্রের লোকজন তা ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করতেন। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। দুই দিন আগে দুর্বৃত্তরা জাকিরের ভেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) পুড়িয়ে দেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে বিরোধ চূড়ান্ত রূপ নেয়। তাকে কোটবাড়িয়া এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাঁচজনের একটি দল সিএনজি চালিত অটোরিকশায় লাশ নিয়ে গিয়ে পাশের বেগমগঞ্জ উপজেলার পলবান পোল এলাকায় ফেলে দেয়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ধাওয়া দিয়ে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

নিহতের স্ত্রী ফাতিমা বেগম হিরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। বাবু নামে একজন বিএনপি নেতাকে স্থানীয়রা আটক করেছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাস বা হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না।

বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পালানোর সময় ধৃত দুইজনকে গণপিটুনি দেয়া হলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, নিহত জাকির একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি, বেগমগঞ্জ থানায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।