Image description

ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও ইমাম ওমর ফারুককে (৩৫) পরকীয়ার অভিযোগে পিটিয়েছে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর ইমাম ওমর ফারুক দাবি করেছেন, ‘আমার সাথে ওই নারীর কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই। আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে হাসি-ঠাট্টার ছলে তার সাথে কথা বলেছি।’

শনিবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রানাদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত ওমর ফারুক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ও রানাদিয়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর এলাকায়। ইমামতির সুবাদে পরিবার নিয়ে মসজিদের পাশেই একটি কক্ষে থাকেন তিনি।

রানাদিয়া জামে মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, ওমর ফারুক পাঁচ বছর ধরে গড়পাড়া ইউনিয়নের রানাদিয়ে জামে মসজিদের ইমামতি করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি রানাদিয়া নালুমোল্লা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক। ইতোপূর্বেও তাঁর নামে নারী সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ ছিল যার জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় তাঁকে সতর্ক করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, এলাকার এক গৃহবধূর সাথে বছর দেড়েক ধরে ওমর ফারুকের সম্পর্ক, বিষয়টা প্রথমবার জানাজানি হলে ওমর ফারুককে সতর্ক করা হয়। এরপর কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর পুর্নরায় সেই নারীর সাথে তাঁর আবার যোগাযোগ শুরু হয়। শনিবার রাতে মোবাইলে কথা বলার সময় ওই নারী তাঁর স্বামীর কাছে ধরা পড়েন। স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে মারধর করেন‌ ও মাদরাসায় গিয়ে ওমর ফারুককে শারীরিক হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করে। 

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে জামায়াত নেতা ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার সাথে ওই নারীর কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই। তবে, মোবাইলে মাঝেমধ্যেই তাঁর সাথে কথা হয়। আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে হাসি-ঠাট্টার ছলে তাঁর সাথে কথা বলেছি। এটা আমার করা ঠিক হয়নি। আমি অনুতপ্ত।’ 

এ বিষয়ে গড়পাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাল হোসেন হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। পরে আমি ইমামকে ফোন দিয়েছিলাম তিনি শুধু আমাকে বললেন তিনি আর মসজিদের দায়িত্ব পালন করবেন না।’

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মনিরুদ্দীন বলেন, ‘এমন অনৈতিক ঘটনার কারণে তাঁকে এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে যদি নিজেকে না শোধরাতে পারে তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার পর ইমামতি থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওমর ফারুক গড়পাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি ছিলেন। আর এই ঘটনাটা আমার জানা নেই, এমন অনৈতিক ঘটনায় সে জরিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’