
সাভারে চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টসকর্মী তানিয়া আক্তার (২৪) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামী মো. সোহাগ মোল্লাকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে নিহতের স্বামী সোহাগ মোল্লাকে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার সোহাগ মোল্লা (৩৫) নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদিরপুর গ্রামের বাসের আলী মোল্লার ছেলে।
অন্যদিকে হত্যার শিকার তানিয়া আক্তার (২৪) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার পৌরসভার মিরকা নগর (আধনগর) ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর নুরুল হকের মেয়ে। তারা দুজন আশুলিয়ায় ভাড়া থেকে স্থানীয় এএনএস নামক তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরিরত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নারী শ্রমিক তানিয়া আক্তার নিজের প্রথম স্বামী ও সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। একই কারখানায় কাজ করার সুবাদে সোহাগ মোল্লার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে গত বছর তারা বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। সোহাগ মোল্লারও প্রথম স্ত্রী আছে, তানিয়া আক্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সম্প্রতি তানিয়া আক্তার গর্ভবতী হলে বিষয়টি নিয়ে সোহাগের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সোহাগ দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঝগড়া করেন।
এরপর গত ২৩ তারিখ রাত আটটার দিকে তানিয়াকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় নিয়ে যান সোহাগ। সেখানে গোল্ডস্টার নামক তৈরি পোশাক কারখানার পেছনে বাঁশঝাড়ের ভেতরে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে সহবাস করার সময় গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তানিয়ার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে নগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ মোল্লা ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহত তানিয়ার বাবা নুরুল হক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Comments