
লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শক্তিশালী কালবৈশাখি ঝড়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে কয়েকশ ঘরবাড়ি উড়ে গেছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বজ্রপাতে অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাতীবান্ধা উপজেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুর্ণা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি ঝড়ে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে হাজার হাজার বিঘা জমির উঠতি ভুট্টা ও ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ঝড়ে তাদের চারটি ক্লাসরুম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
যদিও সরকারি ও বেসরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ করছেন।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বজ্রপাতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পারুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবারের কালবৈশাখি ঝড়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসতবাড়ি লন্ডভন্ড সহ ভুট্টা ও ইরি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে জরিপ কাজ করছেন। জরিপ সম্পন্ন হলেই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা জানান, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।
Comments