Image description

দিনাজপুরের বিরামপুরে এক পা নিয়ে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে। প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তাও নেই শিশুটির। এজন্য চিকিৎসকরা তার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে এবার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকায় প্রেরন করেছেন । 

আজ বৃহস্পতিদবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই শিশুটিকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিরামপুর উপজেলার মডার্ন ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।   

জানা যায়, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৪ সালে একই এলাকার তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আরোও দুটি সন্তান রয়েছে। প্রসব বেদনা উঠলে তাসলিমা আক্তারকে নবাবগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার মর্ডাণ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিজারের মাধ্যমে তার যমজ শিশুর জন্ম হয়। তবে প্রথমটি মেয়ে সন্তান হলেও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময় ঘটে আশ্চর্যজনক ঘটনা। জন্ম হয় এক পা বিশিষ্ট সন্তানের। প্রাথমিকভাবে ঐ শিশু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণও করতে পারেনি চিকিৎসক। এ ঘটনার পর প্রসূতি মা'সহ সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া দুই শিশুই সুস্থ রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সিজারিয়ান ডা. তাহেরা বেগম লাভলী জানান, বর্তমানে মা, এক শিশু সুস্থ ও এক পা ওয়ালা শিশুটি জন্মগতভাবে অসুস্থ। সেই সঙ্গে এক পা বিশিষ্ট বাচ্চাটির মলমুত্র ত্যাগের জন্য প্রস্রাব ও পায়ুপথ নেই। জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণে জন্মগতভাবে শিশুটির এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ও অপারেশনের মাধ্যমে তার প্রস্রাব ও পায়ুপথ বের করা না গেলে তার বেঁচে থাকা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।

দিনাজপুর শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ওয়ারেজ সরকার বলেন, গত বুধবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুর পায়ুপথ না থাকায় বাইপার্স সাজারী করানো জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ।  


মানবকণ্ঠ/এফআই