
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার পর থেকেই হাসপাতালটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে বুধবার সেখানকার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। সকাল থেকে হাসপাতালটির সামনে ও আশেপাশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রবেশপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন ফটকে আনসার, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, যা বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়ক হয়েছে।
এমনকি সাংবাদিকদেরও ভেতরে বা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি কোনো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, তখন সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় ভিড় ও কোলাহল এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সে কারণে আজ সকাল থেকেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু হাসপাতালের কর্মী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন।'
হাসপাতালের চত্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে 'হেল্প ডেস্ক' লেখা থাকলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবকরা জড়ো হয়েছিলেন। একইসঙ্গে রক্ত দেওয়ার জন্য সেখানে হিজড়া সম্প্রদায়ের উপস্থিতি সচেতনতা ও মানবিকতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল।
আরআই/মানবকণ্ঠ
Comments