
ইতালির ২০২৩-২৪ সালের কর্মসংস্থান কোটা অনুযায়ী ভিসা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক বিলম্ব এবং অনিশ্চয়তা দূরীকরণের দাবিতে রাজধানীর গুলশানে ইতালি দূতাবাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি ভিসা আবেদনকারী।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ইতালির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট (নুল্লা ওস্তা) পাওয়ার পর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী তারা দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এক থেকে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ আবেদন এখনও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যা তাদের মারাত্মক মানবিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক সংকটে ফেলেছে।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, ডাকযোগে পাসপোর্ট, স্ক্যান কপি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও অনেকে কোনো ধরনের আপডেট বা প্রতিক্রিয়া পাননি। এতে তারা নিজ নিজ ভবিষ্যৎ নিয়ে দারুণ অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
তাদের আরও দাবি, ইতালির অভ্যন্তরে Sportello Unico per l’Immigrazione (SUI) এবং Prefettura ইতোমধ্যে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের অভাবে এসব কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,২০২৩-২৪ সালের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।ইতালির অভ্যন্তরে SUI ও Prefettura কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক সমন্বয় নিশ্চিত করা। যেসব আবেদনকারীর পাসপোর্ট ইতোমধ্যে দূতাবাসে রয়েছে, তাদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করে স্বচ্ছতা ও মানবিকতা প্রদর্শন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করেছেন যে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়, যা হতাশাজনক।
তাদের প্রত্যাশা, দূতাবাস দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক সময়সূচি ঘোষণা করবে এবং সংশ্লিষ্ট ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করবে।
উল্লেখ্য, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গুলশান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
Comments