Image description

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনে বোতল হাতে নিয়ে 'বোতল-বোতল' স্লোগান দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার  কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থানস্থলে শিক্ষার্থীদের এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। এই সময় তারা মোড়ের ট্রাপিক সিগনাল লাইটের খুঁটিতে বোতল টানিয়ে দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, একশত জনের মত শিক্ষার্থী বোতল হাতে একত্রিত হয়ে 'বোতল-বোতল' স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রায় ২০-২৫  টি বোতল ছোট্ট রশিতে বাঁধেন। এই বোতলগুলো হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এই বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয় কুমার রায় বলেন, শুধুমাত্র একটা বোতল নিক্ষেপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি কথা না বলে চলে গেছেন। অথচ পুলিশের হামলায় আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় পদে বসে তিনি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে উদ্যত্মপূর্ণ আচরণ করেছেন। আমরা তার প্রতিবাদে বোতল হাতে বিক্ষোভ করছি ও 'বোতল-বোতল' স্লোগান দিচ্ছি।

এর আগে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে।

পরে বোতল নিক্ষেপকারী সেই শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হুসাইন বলেন, গতকালের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোতল ছুঁড়ে মারি নাই। বোতলটি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করি। কাউকে আহত বা অপমান করার জন্য কাজটি করি নাই। আমি কোনো ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত নই। আমার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

উপদেষ্টা মাহফুজকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। তারা এ ঘটনাকে ‘নিকৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন।

পরে প্রেস বিফ্রিংএ মাহফুজ বলেন, ‘তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তারা আজকে এখানে এটা করেছেন।’

তবে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন দাবি করেন, বোতল নিক্ষেপের ঘটনার সঙ্গে জবির সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা কোনোভাবেই দায়ী নন। উপদেষ্টা মাহফুজ তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি। তার মানসিক কাউন্সিল প্রয়োজন।