Image description

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ ও কক্ষে তালা মারেন আন্দোলনকারীরা। এসময় আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্য দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে তালাবদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তারা তালা খুলবেন না।

তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারনসহ ৪ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কিন্তু ববি উপচার্য তাদের দাবির প্রতি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ দফা দাবি মেনে নিতে উপচার্য ড. শুচিতা শারমিনকে বৃহস্পতিবার ২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। শনিবার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তালা দেওয়ার সময়ে রেজিস্ট্রার তার কক্ষে ছিলেন না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন বলেন,  আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন কর্ণপাত না করায় রেজিস্ট্রারকে অবৈধ ঘোষণা করে দপ্তরে তালা দেওয়া হয়েছে। এই অবৈধ রেজিস্ট্রার স্বৈরাচারের দোসর। তাকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্য অপসারণ করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবি মানা না হলে সামনে আন্দোলন আরও জোরালো হবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে অস্থিরতা তার সমাধান উপাচার্যের কাছে। উপাচার্য অবৈধ রেজিস্ট্রারকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করে এর সমাধান করতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারেন উপাচার্য নিজেই।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে এই বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। উপাচার্যের পিএসকে কল করেও সাড়া মেলেনি। পরে দপ্তরে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।