Image description

ফরিদপুর থেকে প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দেওয়া চন্দ্র শেখর মিত্র (৫৪) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমডি পরিচয় দেওয়া লিয়াকত হোসেন (৫১) নামের দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
ফরিদপুর শহরের দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন অফিসে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি জনবল নিয়োগের জন্য দরপত্র জমা দেয়। গত ৭ জানুয়ারি থেকে কয়েক দিনের মধ্যে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচনি অফিসের কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে জনৈক চন্দ্র শেখর মিত্র ফোন করেন। এ সময় প্রতারক চন্দ্র শেখর মিত্র ট্রাস্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিভিন্নভাবে হুমকিও প্রদান করেন। গত সোমবার ওই প্রতারক নিজেই ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে এসে কাজটি ট্রাস্ট সিকিউরিটি কোম্পানিকে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতারক চন্দ্র শেখর মিত্রকে গ্রেফতার করে। 
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চন্দ্র শেখর মিত্র জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি দফতরে ফোন করে এবং প্রভাব খাটিয়ে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এর আগে তিনি পদ্মা সেতুর রেললাইনের পাথর সাপ্লাইয়ের কাজটি চিফ প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে একটি গ্রুপকে পাইয়ে দেন। চন্দ্র শেখর মিত্রের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলাও রয়েছে। 
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া লিয়াকত হোসেন নামে আরেক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে বুধবার। লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত ও জয়পুরহাট আদালতে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। 
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার এ দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে তারা সারা দেশ থেকে অবৈধ কাজের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।