
‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভোট কাউন্টিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আজ ডাকসুর নির্বাচনের দিন ছিল, ডাকসুর নির্বাচনের যে পরিস্থিতি সে সম্পর্কে আপনারা অবগত। কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানানো খুব জরুরি। আজকের ডাকসুর নির্বাচন ঘিরে নানা ধরনের অনিয়ম এবং কারচুপির ঘটনা আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি ঘটনা বলা খুব জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘অমর একুশে হলে ব্যালট ছিল, সেগুলো আগে থেকে ভরাট করে যে বাক্স ভর্তি করার কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা দেখেছি রোকেয়া হলে ভিপি এবং জিএস পদে এস এম ফরহাদ এবং সাদিক কাইয়ুয়ের নাম বসিয়ে দিয়ে সেই ব্যালট শিক্ষার্থীদের কাছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহিদুল্লাহ হলে শিবিরের পূরণ করে রাখা লিস্ট ভোটার কেন্দ্রের ভেতরে আগে থেকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এরকম ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরেও আমরা ভুয়া ভোটারের কয়েকটি ঘটনা দেখেছি। আমরা আরও অনেকগুলো ঘটনা দেখেছি, যেখানে আমাদের প্রতিরোধ পর্ষদের ক্যান্ডিডেটসহ আরও অনেককেই বিভিন্ন রকমের জ্যামিংয়ের ও ব্লকেডের মধ্য দিয়ে তাদের ন্যায্য প্রচারণা করতে দেওয়া হয়নি। সেদিক দিয়ে নির্বাচনের অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা দৃশ্যমান রয়েছে।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেঘ বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের আবাসিক-অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীদের, যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্যাপকভাবে ভোট দিতে এসেছেন এবং আমরা যে হাই টার্নআউট সেই হাই টার্নআউটের নির্বাচন দেখতে পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এখন ভোটের ফলাফল যাই হোক আমরা সেটিকে বিজয় হিসেবে দেখতে আগ্রহী। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি ভোট গণনার সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে সাদিক কায়েম এবং শিবিরের প্রার্থীরা উপস্থিত হয়েছে। একাধিক জায়গায় এলইডি লাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এবং সেটিকে টেকনিক্যাল ফল্ট হিসেবে দেখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও খবর পাচ্ছি ভোট কাউন্টিংয়ের যে নিয়ম-কানুন সেগুলো মানা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা বলতে চাই, ভোট কাউন্টিংয়ের ক্ষেত্রে যদি কোনও ধরনের অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটানো হয় সেটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সমাজ মেনে নেবে না। একইসঙ্গে যে সময় ভোট কাউন্টিংয়ের যে মনযোগ দেওয়ার কথা ছিল তা না দিয়ে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভোট কাউন্টিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। হারি-জিতি যাই হোক না কেন, আমরা কে কত ভোট পেয়েছি সেটা জানার অধিকার আমাদের রয়েছে। তাই সব মত-দ্বিমতের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের ভোট কাউন্টিং যাতে সুষ্ঠু হয় সেটি নিশ্চিত করার কাজে থাকতে হবে।’
Comments