Image description

রাজিউর রহমান (৪০) নিজেকে পুলিশের এসআই বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন জনকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এই ভুয়া পুলিশ রাজিউরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাকে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

র‌্যাব জানায়, শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার সদরের বন্দরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা রাজিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজিউর ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের জনগাঁও এলাকার সইফুর রহমানের ছেলে। 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীর চাকরিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। ভুক্তভোগী নিকটস্থ আত্মীয় মাধ্যমে জানতে পারে রাজিউর নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি চাকরি নিয়ে দেয়। তখন বিবাদী রাজিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলাতে এসআই হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানান। ভিকটিম তার কাছে চাকরির বিষয়ে কথা বললে সে বহু লোককে সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছে এবং তাকেও ভর্তি করে দেবে বলে ১২ লাখ টাকার চুক্তিবদ্ধ হয়। চাকরি হলে প্রথমে ৬ লাখ টাকা এবং জয়েনের পরে বাকি ৬ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে চুক্তি হয়।

চলতি বছরের গেল ৩১ মে ভুক্তভোগী যুবক মোবাইলে সেনাবাহিনীর মাঠে উপস্থিত হওয়ার জন্য এসএমএস এর কথা বিবাদীকে জানায়। এরপরে সেখানে গেল ২ জুন বিবাদী ওই যুবকের সব সার্টিফিকেট এবং জনতা ব্যাংকের ২টি ব্ল্যাক চেক স্বাক্ষর করে ঠাকুরগাঁও সদর ঠিকানায় পাঠাতে বলে। 

কিন্তু ভুক্তোভোগী যুবক রাজশাহী সেনানিবাসে সৈনিক পদে নিয়োগে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে। তখন বিবাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ওই যুবক নিজেই বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় প্রতারণা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারী রাজিউরকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া গেছে। উক্ত প্রতারক নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে এর আগেও বহুবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। উক্ত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।