
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, এম এ লতিফসহ ১০ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শ্যোন অ্যারেস্ট মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাতকানিয়া-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো. আবুল বশর।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনের গ্রেপ্তার আবেদন করেন, যার মধ্যে ১০ জন আসামি শুনানিতে অংশ নেন। এ বি এম ফজলে করিমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয়।
মামলার বাদী একজন অটোরিকশা চালক। তার ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচা বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের আমলের এমপি ও নেতাকর্মীসহ মোট ১৫ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, শুনানিতে ৯ জনকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে এবং একজনকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১০ জনের গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর তাদের কঠোর নিরাপত্তায় আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
Comments