মুুসলিম নারীর সাথে প্রেম করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হিন্দু যুবক

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ম গোপন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন ঋত্বিক সাহা (২০) নামে এক হিন্দু যুবক। সোমবার ধর্ষণের শিকার মুসলিম নারীর দায়ের করা মামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঋত্বিক সাহাকে গ্রেফতার করেছে পূবাইল থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ঋত্বিক সাহা নগরীর পূবাইল থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতানী পাড়া এলাকার রাজু সাহার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ব্যতিত নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করেন ভিকটিম নারীকে। দেশের প্রচলিত আইনে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়নি। ঋত্বিক সাহা হিন্দু ধর্ম হইতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিবাহের কথা ছিল। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন ব্যতিত নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করে ভুয়া বিবাহ করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন ওই নারীকে। এটি অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় অপরাধ করেছেন ঋত্বিক। যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। বর্তমানে ওই নারী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত দেড় বছর পূর্বে ভিকটিম নারী মানিকগঞ্জে তার নিজ এলাকায় বান্ধবীর বিবাহ অনুষ্ঠানে আসামি ঋত্বিক সাহার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেসেঞ্জারে উভয়ের মধ্যে মেসেজ আদান প্রদান হয়। একপর্যায়ে আসামি হিন্দু ধর্মের অনুসারী হওয়া সত্বেও ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন। পরে ধর্ম পরিচয় জানতে পেরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ওই নারী।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে মানিকগঞ্জ থেকে গাজীপুরের পূবাইলে তার নিজ বাসায় এনে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ঋত্বিক। ভিকটিম পুনরায় নিজ বাড়িতে চলে আসলে গত ফেব্রুয়ারিতে আবারও সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পূবাইলে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঋত্বিক নিজে মুসলিম না হয়ে ওই নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে রোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে রুপান্তরিত করে বিয়ে করেন। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আবারও বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে গত সোমবার প্রতারক ঋত্বিকের বিরুদ্ধে পূবাইল থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর কারাগারে পাঠায়।
এক সাক্ষাৎকারে ভিকটিম সাংবাদিকদের জানায়, ওকিলের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করায় ঋত্বিক, কাগজ পড়ার সময় আমাকে দেয়না শুধু সিগনেচার করায়। এখানে আসার পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার এইচএসসি পরীক্ষার পর সে আমায় নিয়ে আলাদা বাসায় থাকবে। তাই কিছুদিন তার বাসায় থাকতে। আমি নামাজ কালাম পড়তে গেলে আমায় নামাজ পড়তে দিতো না, পূজা করতে বলতো, ঐগুলা নিয়া চিল্লাচিল্লি করতাম। পরে এ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে তার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিত ঋত্বিক শাহা।
ভিকটিম আরও জানায় আমাকে শারীরিক মানুষিক ভাবে অত্যাচার করেছে ৩ মাসের মধ্যে জামাকাপড় কিছু দেয় নাই একটা জিনিস খাইতে গেলেও অত্যাচার করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আমিরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত আসামি ঋত্বিক সাহাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Comments