Image description

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসার পর সীতাকুণ্ডে ৪০ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।  সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সাগর উপকূল মজিদ স্টিল/লিয়াজ স্টিল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। স্থানীয়রা জানান, আটকের পর দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন নারী, ১৫ জন পুরুষ ও ১৬ জন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আটককৃত কয়েকজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন - নূর কালিমা, আব্দুল্লাহ, জাহিদ হোসেন, রোকেয়া, জাফর আহম্মদ, শফিউল আলম, নুরকাদের, মোহাম্মদ রফিক, রিদোয়ান, ওসমান, আইয়ুব, আনিসুর রহমান, আব্দুল্লা আল মামুন, শারমিন আক্তার, নূর বেগম, সবিতা, শানু, মোহাম্মদ সাদেক, মোমিনা, ফাতেমা, নূর বেগম, সাথিয়া বেগম, রশিদা বেগম ও জহিরসহ আরও ১৬ জন।

স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে একটি ইঞ্জিনচালিত বোট থেকে শিশুসহ রোহিঙ্গাদের নামতে দেখে এলাকাবাসী তাদের আটক করে। এ সময় আটককৃতরা জানায়, তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য পালিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে জানানো হলেও দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আটক নারী, পুরুষ ও শিশুদের সাগর উপকূলের একটি পরিত্যক্ত ইয়ার্ডে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

আটককৃত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ রফিক, ওসমান, আইয়ুব ও রিদোয়ানসহ কয়েকজন জানান, সরকার ভাসানচরে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করলেও সেখানে খাবারের অভাবের কারণে তারা খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। বাধ্য হয়ে তারা দালালদের মাধ্যমে জনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসেন। দালালরা গতকাল রবিবার গভীর রাতে চারটি ইঞ্জিনচালিত বোটে করে তাদের নিয়ে রওনা হন এবং সোমবার দুপুরে তারা ভাটিয়ারী সাগর উপকূলে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। ভালোভাবে জীবনধারণের জন্যই তারা পরিবার নিয়ে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরতে চান বলে জানান।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে রোহিঙ্গা আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আটক রোহিঙ্গাদের পুনরায় নোয়াখালীর ভাসানচরে ফেরত পাঠানো হবে।