
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার (১১ মে) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সকলেই খোলা জায়গায় ধান কাটা এবং ধান-খড় শুকানোর কাজ করছিলেন।
নিহতরা হলেন – গোকর্ন ইউনিয়নের গোকর্ন গ্রামের অলি মিয়ার ভগ্নিপতি শামছুল হক (৬৫), চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের আলমগীর মিয়ার মেয়ে জাকিয়া খাতুন (৮) এবং সরাইল উপজেলার চানপুর গ্রামের মৃত জয়েদ আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক(৩৫) ।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের মুক্তো মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া (১৭), চাতলপাড় ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম (৪৫) ।
জানা যায়, দুপুর ৩টার দিকে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর এলাকায় কয়েকজন শ্রমিক ধান কাটছিলেন। আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য রওনা হন। তবে বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই বজ্রপাত ঘটলে আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় গুরুতর আহত হামিদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। একই সময়ে, গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় বজ্রপাতে শামছুল হক নামে আরও একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এছাড়া কচুয়া গ্রামে জাকিয়া খাতুন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, গোকর্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন আহন্মেদ এবং দুর্গাপুর ইউনিয়নের সদস্য তারু মিয়া বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Comments