Image description

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি ‘একটু ধীর’ বলে মনে হয়েছে তার।

দুই দফায় খুলনার মেয়রের দায়িত্ব সামলানো ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেছেন জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী, তবে ভোটের ফল যাই হোক, মেনে নেওয়ার মানসিকতা তার আছে।

সোমবার সকাল ৮টায় এ নগরীর ২৮৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। খুলনা সিটিতে এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট হচ্ছে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে নগরীর পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার গতি ‘একটু ধীর’। তবে দিন শেষে ৬০ ভাগের বেশি ভোট পড়তে পারে।

অনেক কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট না দেখার বিষয়টি তুলে ধরে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেক বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো, শান্তিপূর্ণ। আমি আগেই বলেছি, ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্টের জন্য ক্যাম্পেইনের সময় মানুষকে কেন্দ্রে আসতে বলেছি। আশা করি, তাই হবে। একটা কথা বলে রাখি- মেয়র প্রার্থীদের অনেক জায়গায় কোনো এজেন্ট নেই। পরবর্তীতে যেন অভিযোগ না দেয়- আমাদের এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি, এমন কথা শুনতে চাই না, আমরা চাই- সবার এজেন্ট থাকুক, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করুক।

ভোটা উপস্থিতি কেমন দেখছেন- এ প্রশ্নে খালেক বলেন, ভোটার উপস্থিতি সকালে আস্তে আস্তে আসছে, কাজ থাকে অনেকের। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট তো, একটু স্লো হবে।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বলছেন, নিজের জয়ের বিষয়ে ‘শতভাগ আশাবাদী’ তিনি। ভোটের ফল মেনে নেবেন কি না, এই প্রশ্নে তার উত্তর, ভোটের ফল যা-ই হোক মেনে নেব, এ মানসিকতা আমাদের রয়েছে।

নৌকার প্রার্থী খালেকের সঙ্গে এ নগরীর মেয়র পদের লড়াইয়ে আছেন চারজন। তাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল হাত পাখা প্রতীক নিয়ে, জাতীয় পাটির মো. শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।