
বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শনিবার(১০ মে) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে এই সমাবেশ শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩টি সাংগঠনিক জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার দুপুর থেকেই পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ট্রাকে করে সমাবেশস্থলের দিকে আসতে দেখা গেছে।
নগরীর প্রবেশমুখ এবং সমাবেশস্থলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ও যানবাহনের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সমাবেশস্থলের প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন, এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এই সমাবেশে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রখর রোদের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সদরদপ্তর সিআরবি এলাকায় গাছের নিচে শত শত নেতাকর্মীকে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। একদিকে ভ্যাপসা গরম এবং অন্যদিকে মানুষের ভিড়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি এড়াতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রায় ৭২ হাজার লিটার পানির পাশাপাশি শরবতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সমাবেশে আগত কয়েকজন নেতাকর্মী গণমাধ্যমকে জানান, তারুণ্যের সমাবেশকে সফল করার জন্য তারা তীব্র গরম উপেক্ষা করে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এসেছেন এবং এখানে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
এসব বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য সমাবেশস্থলের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Comments