Image description

পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান চালাতে গিয়ে এবার দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। বৃহস্পতিবার সংস্থার সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও মো. শাওন হোসেইন অনিকের নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর আগারগাঁও কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় তারা পাসপোর্ট অফিসে চরম অব্যবস্থাপনা, গ্রাহক হয়রানি, কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের সত্যতা পান।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানে হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায় দুদক টিম। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে অফিসের সামগ্রিক সেবা প্রদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন।


অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশকালে প্রধান ফটকেই বেশ কয়েকজন দালাল তাদের সেবা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। এ সময় দালালরা বাড়তি টাকার বিনিময়ে দ্রুত পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ করে দেওয়ার কথা বলেন। দালালদের সঙ্গে কথা বলে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মচারীর অনিয়মে জড়িত থাকার ইঙ্গিত পান দুদক টিম। পরবর্তীতে অফিসের অভ্যন্তরে গিয়ে সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা দালালদের দৌরাত্ম্য, চরম অব্যবস্থাপনা এবং অর্থের বিনিময়ে লাইন ব্রেক করে সিরিয়াল সামনে নিয়ে আসার অভিযোগ করেন। দুদক দীর্ঘ সময় পাসপোর্ট অফিসে সরেজমিন করে এসব অভিযোগের সত্যতা পায়।

অভিযানকারী দলের এক কর্মী বলেন, দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসের ১০৩ নং কক্ষে গিয়ে এনআইডি ভেরিফিকেশনের এক কর্মচারীকে ৪০ মিনিট ধরে অনুপস্থিত পান। একইভাবে ৩০৪ নং কক্ষে গিয়ে কোনো লাইন বা সিরিয়াল না মেনে ইচ্ছেমতো বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের চিত্র দেখতে পায় টিম। পরবর্তীতে দুদক টিম পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা অভিযোগ স্বীকার করলেও এর পক্ষে দায়সারা ব্যাখ্যা দেন। দুদক টিম গ্রাহক হয়রানি দূরীকরণ ও গ্রাহক সেবা সহজ করার লক্ষ্যে পরিচালক বরাবর বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেন।