
আজ পবিত্র হজ। ইহরাম পরিহিত লাখো হজযাত্রীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মিনা। মুখে উচ্চারিত হচ্ছে তাকবির ও তালবিয়ার ধ্বনি- ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। ওই রাত থেকে শুরু করে বুধবার দুপুরের মধ্যে ধাপে ধাপে হজযাত্রীরা মিনায় পৌঁছান। সেখানে তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, জিকির-আজকার এবং তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করেন।
বৃহস্পতিবার হজের মূল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হজযাত্রীরা অবস্থান করবেন আরাফাতের ময়দানে। এটি হজের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত হাজিরা মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন। এরপর সায়ি, তাওয়াফ ও দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
সৌদি সময় অনুযায়ী ৭ জিলহজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর হজের নিয়ত করে মক্কার মসজিদুল হারাম বা নিজ নিজ আবাসন থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হজযাত্রীরা। সুন্নত অনুযায়ী ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো উত্তম। সেখানে রাতযাপন ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ও সুন্নত হিসেবে পালন করা হয়। হাজিদের সুবিধার্থে আলাদা তাবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে তারা ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকেন।
আজ ফজরের নামাজ শেষে হজযাত্রীরা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানে যাবেন। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। তালবিয়ার ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে গোটা ময়দান। এখানে দাঁড়িয়ে খুতবা শোনা, নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ায় মগ্ন থাকবেন হজযাত্রীরা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের অপরিহার্য অংশ।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজে গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২২৪টি ফ্লাইটে তারা ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে’র মধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছান। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে, চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।
Comments