
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৯ জন প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সাধারণ সম্পাদক তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শ্যামলীতে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ শীর্ষক এক তরুণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত। এই আইন ও বিধিমালা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সড়কে সব ধরনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য একটি পৃথক ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং-এর সদস্য এএফএম সাদমান সাকিব এবং বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাধারণ সদস্য ইশতেয়াক ইমন।
তরুণ বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা অনেকাংশেই উপেক্ষিত হয়েছে। তাদের দাবি, এই আইনে পথচারী, সাইকেল চালক, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বিধি-বিধান নেই। তাই একটি শক্তিশালী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সড়ক নিরাপত্তা আইনের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, তরুণদের এই দাবি মূলত সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সড়কে সবার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য। তারা মনে করেন, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে বিগত সময়ের মতোই এবারও তরুণ শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, সড়ক দুর্ঘটনা তরুণদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
Comments