
ইরানের পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিদেশি সম্পদবিষয়ক অফিস এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞার পরও ইরানের জ্বালানি তেল–বাণিজ্য চলছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানের তেল পরিবহনকারী ট্যাংকারগুলো বন্দর এলাকার বাইরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকা নৌযানে তেল সরবরাহ করছে। পরে ওই তেল বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ইরানের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পেছনে এ তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে তেহরান।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, নিজেদের জ্বালানি তেলের বিক্রি বাড়ানো এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে নৌযান, পরিবহনকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোপন নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে যাচ্ছে ইরান।
তিনি আরও বলেন, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে নিজেদের সব সরঞ্জাম কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যারা ইরানের তেল নিয়ে কাজ করবে, তারাও নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ, তেহরানের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি ইরানের তেল কেনে না।
Comments