

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানুষকে বাবা-মার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের ফিরে আসতে হবে। এরপর আমি তোমাদের বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।’ (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৮)
আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে তার প্রিয় একটি আমল- বাবা-মার সঙ্গে উত্তম আচরণ করার কথা বলেছেন। এটি ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমলও বটে। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদিসে পাকে আরও দুটি আমলের কথা ওঠে এসেছে। যে আমলগুলো আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয়। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কী?
১. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- যথাসময়ে নামাজ আদায় করা।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি?
২. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি?
৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ হাদিসে বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তম আচরণকে নামাজের পরে এবং জেহাদের আগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত যে বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তম আচরণ ও তাদের খেদমত করা অনেক সৌভাগ্য ও কল্যাণের কাজ। এ প্রসঙ্গে অন্য একটি হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলো যে, আমি আপনার হাতে হিজরত ও জিহাদের জন্য বাইয়াত করছি। আর আল্লাহর কাছে এর প্রতিদান চাই।
মানবকণ্ঠ/এসএ