

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের ৬ কংগ্রেসম্যান। তারা হলেন- স্কট পেরি, বেরি মুরে, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, টিম বারচেট এবং কেইথ সেলফ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আইনশৃঙ্খলা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছেন তারা। নিঃসন্দেহে এটা বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট ফার্মের বাংলাদেশবিরোধী নতুন এক প্রজেক্ট। চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে বহুল সমাদৃত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই কংগ্রেস সদস্যরা। কংগ্রেস সদস্যদের এই অযৌক্তিক এবং অবাস্তব অভিযোগ বাংলাদেশের মতো এমন একটি গণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা বিশ্বে প্রশংসনীয় দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।
২০২২ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে (ইউএনএইচআরসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আগামী ২০২৩-২৫ মেয়াদকালের জন্য সদস্যপদ লাভ করেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের জন্য এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। বাংলাদেশকে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছে ১৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা, যা দেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে বিশ্বে নেতিবাচকভাবে ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সদস্যদের এমন মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর যে প্রচেষ্টা চলছে, বাংলাদেশের এই বিজয় তা বাতিল করে দেয়।
বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়ে জয়লাভ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্মান এবং আওয়ামী লীগ সরকারের জন্যও স্বস্তির। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ হলে এ সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৮৯টি ভোট দেয়। বাংলাদেশ ছাড়া এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয় মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও কিরগিজস্তান। পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। জাতিসংঘের ৪৭ সদস্যের এই সংস্থায় এর আগে ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মানবিক পদক্ষেপ সারা বিশ্বে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। বিশ্বে মানবাধিকারের ঝাণ্ডাধারী অনেক দেশ যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য শুধু মায়াকান্না করেই থেমে যায়, সেখানে বাংলাদেশ সেই ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। বরং মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ঘটনা ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা অনন্য নজির হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সাহসিকতা দেখিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় এক বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও তার সরকারের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অযাচিত অভিযোগ আনছে। অথচ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো ঘটেছে ২০০১-০৬ সালের মধ্যে। ২০০১-এর নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা বিবেকবান মানুষকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে অনেক সাধারণ মানুষের ওপর চালানো হয়েছিল নির্যাতনের স্টিমরোলার। গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল অনেক নারী। নির্বাচনপরবর্তী এরূপ সহিংসতা ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, সেই বিষয়গুলো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নেহাত বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সংঘর্ষ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট পুরো দেশ প্রত্যক্ষ করেছিল একটি প্রথিতযশা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হত্যার ঘৃণ্য নীলনকশা। সুতরাং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের অধিকারী বাংলাদেশ এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে মানবিকতার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করছে।
বাংলাদেশে বিরোধী মতের ওপর দমন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে দেশটির লাখো মানুষ। এই আন্দোলন দমাতে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হাতিয়ার র্যাবকে ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। এমন অবান্তর ও অগ্রহণযোগ্য অভিযোগ বাংলাদেশের মতো একটা সুপরিচিত গণতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে করা কতটুকু যুক্তিসংগত তা আমার বোধগম্য নয়।
ইতিহাস বলছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সংগ্রাম করে। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ, ছাত্রলীগ নেতা সেলিম-দেলোয়ার, পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোসহ আরও নাম না-জানা অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ। অব্যাহত আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক গণ-আন্দোলনের কাছে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ ছাড়াও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের অগণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার-বহিভর্‚ত শাসনামল থেকে জনগণের জীবনকে রক্ষা করতে দীর্ঘ সংগ্রাম করে ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে গণতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
যারা গণতন্ত্র গেল গেল বলে চিৎকার করছেন এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন তাদের উদ্দেশে তথ্যটি তুলে ধরলাম। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বিচারে ২০২২ সালে বিশ্বে গণতন্ত্রের দশায় খুব বেশি পরিবর্তন না এলেও বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়েছে দুই ধাপ। পাঁচটি মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে ইআইইউ সম্প্রতি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ২০২২ সালে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ৭৩ নম্বরে। ২০২১ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৭টি দেশের মধ্যে ৭৫তম।
রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতিক্রমে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে সেখানে ওই চিঠিতে অবান্তর অভিযোগ করা হয়েছে যে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন দমাতে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হাতিয়ার র্যাবকে ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর অনেক অভিযোগ থাকলেও দেশে শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত গণমাধ্যম রয়েছে। ৫৪৪টি দৈনিক, ৩৫৭টি সাপ্তাহিক, ৬২টি পাক্ষিক ও ৯৩টি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ হচ্ছে। ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সচল আছে, যাতে সরকারের নীতি ও কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
উক্ত চিঠিতে এমনও অভিযোগ করা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। লুটপাট, ঘরে আগুন দেওয়া, মন্দির এবং মূর্তি ভাঙচুর, খুন, ধর্ষণ এবং জোর করে ধর্মান্তরিতসহ নানা নির্যাতনের কারণে হিন্দুরা বাংলাদেশ ত্যাগ করছে। শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরাও নির্যাতিত হয়েছে। খ্রিস্টানদের গির্জা লুটপাট, আগুন এবং যাজকদের কারাগারে পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটেছে এবং ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব শান্তির সূচকের (জিপিআই) দিকে তাকালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশ ও তার সরকারকে নিয়ে করা এমন অভিযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিশ্ব শান্তির সূচক (জিপিআই) নির্ণীত হয় আটটি নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে। যথাক্রমে সরকার, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ, অন্যের অধিকারের স্বীকৃতি দান, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, দক্ষ মানবসম্পদ, দুর্নীতি রোধ এবং সম্পদের সুষম বণ্টন। ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিপিআই সূচক ২০১৯, ২০২০ ও ২০২২ সালের জিপিআই সারণি নির্দেশ করে বিশ্ব শান্তির সূচকে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি ঘটছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৩। এ বছর ১৯১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ১২৯তম অবস্থানে।
ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচনব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা নিতান্তই অযৌক্তিক এবং অবান্তর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনসাধারণের গণতান্ত্রিক জীবন হরণকারী দল বিএনপি-জামায়াত লবিং করে যতই আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ যড়যন্ত্র করুক না বাংলাদেশকে নিয়ে তা কখনো সফল হবে না। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত বাংলার জনগণ এবং আওয়ামী লীগ সরকার কঠোরভাবে সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর মতো লড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে সবসময়ই আপসহীন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে এবং লবিং করে বিএনপি-জামায়াতকে বাংলার জনগণের জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপসহীন আওয়ামী লীগ সরকার কোনোভাবেই দেবে না-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।