মাহফুজউল্লাহ প্রতিদিনই স্মরণীয়


  • অনলাইন ডেস্ক
  • ০২ মে ২০২৩, ২১:০৩,  আপডেট: ০২ মে ২০২৩, ২১:১৬

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার: রমজান পরবর্তীতে শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার মাঝে ২৭ এপ্রিল। বিশিষ্ট সাংবাদিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব লেখক কলামিস্ট শ্রদ্ধাস্পদ মাহফুজউল্লাহ ভাইর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। রোজা মুখে তার কবর জিয়ারত, দোয়া আয়োজন পর্যন্ত সাধ্য ছিল আমার। সেটা করেছি। আল্লাহর দরবারে আরাধনা করেছি তার ইহজীবনের গুনাহখাতা মার্জনার। আমার সাধ্যই যে এতোটুকু।

মাহফুজুল্লাহ ভাইকে চিনতাম-জানতাম; এটা আমার সৌভাগ্য। তিনিও যে আমাকে চিনতেন, জানতেন, বুঝতেন, স্নেহ করতেন, আস্থায় রাখতেন, বিশ্বাস করতেন- তা আমার পরম পাওয়া। এক জনমে আর কতো প্রাপ্তি লাগে! কখনো কখনো মনে হয় একজন মাহফুজউল্লাহর সরাসরি স্নেহবাৎসল্য পেলে জীবনে আর কিছু লাগে না। সেই প্রাপ্তি আমার হয়ে গেছে। তাকে কতোভাবে যে চিনেছি অল্পতে লিখে শেষ করার সাধ্য আমার নেই।

মানুষ সাদামাটার মাঝে কতো পরিপাটি থাকতে পারে, কতো সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে –এর উদাহরণ তিনি। সব মত-পথের কাছে সজ্জন হওয়ার যে দৃষ্টান্ত মাহফুজউল্লাহ ভাই তৈরি করে গেছেন তা একটি উপাখ্যান। সাংবাদিকতার সব পাঠপঠনে পাকা এই ব্যক্তিই বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনাও করে গেছেন। জন্মেও ছিলেন বর্ণাঢ্য। জন্ম ১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুরে। তার পিতার নাম হাবিবুল্লাহ এবং মাতার নাম ফয়জুননিসা বেগম। মাহফুজ ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত মুজফ্‌ফর আহ্‌মেদের দৌহিত্র তিনি। তার বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতায় পুনরায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্র রাজনীতির কারণে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশ নেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

ছাত্রাবস্থাতেই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন সাংবাদিকতায়। দেশ স্বাধীনের পরের বছর ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই যুক্ত হন পত্রিকাটির সঙ্গে। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক ছাড়াও রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনা করেছেন। টক শোতে সংবাদ ও রাজনীতি নিয়ে করেছেন নির্মোহ বিশ্লেষণ। মৃত্যুর আগে শিক্ষকতা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করা মাহফুজউল্লাহ সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এই পরিবেশবিদ আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্যও।

বিভিন্ন বিষয়ে মাহফুজ উল্লাহ বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৫০-এর অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার কয়েকটি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক গ্রন্থ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়া: রাজনৈতিক জীবনী, যাদুর লাউ, যে কথা বলতে চাই, অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন : গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১), উলফা ও অ্যাসোসিয়েশন ইন আসাম, বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরির মতো গ্রন্থগুলো ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু বাংলাদেশকে অপূরনীয় ক্ষতি করে দিয়ে গেছে।

আজকের প্রজন্মের জানা দরকার মাহফুজ উল্লাহই সর্বপ্রথম ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৮১ সালে। শেখ হাসিনা তখন প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। তৎকালীন জনপ্রিয় ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’র ১৩ই মার্চ ১৯৮১ ডেটলাইনে ছাপা হওয়া সাক্ষাতকারটি প্রচারের কিছুদিনের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব নেন। সাক্ষাৎকারের সময় শেখ হাসিনার যে ছবিটি মাহফুজউল্লাহ নিজে ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন, সেটিই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকারী শেখ হাসিনার সংবর্ধনার জন্য ছাপানো পোস্টারে ব্যবহার করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতৃত্ব; ‘ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছি’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সাক্ষাতকারটি হুবহু উল্লেখের লোভ সংবরণ করতে পারছি না।

প্রশ্ন: দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর আপনি আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। আপনি এই ফিরে আসাকে কীভাবে দেখছেন? রাজনীতিতে আপনার লক্ষ্য কি হবে? উত্তর: ছাত্রজীবনে আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। পরবর্তীতে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলামÑ এটা ঠিক নয়। আমার পুরো জীবনটাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনীতির সঙ্গে জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাজনীতির জন্যই মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজন হারিয়েছি। আমি রাজনীতির সঙ্গেই আছি। নতুন করে রাজনীতিতে এসেছি, বলতে পারেন না। নতুন করে রাজনীতিতে প্রবেশের প্রশ্ন উঠে না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছি, ঠিকই। তবু বলবো- আমি একজন সাধারণ মেয়ে, এমন কোনো গুণ নেই যে, সভানেত্রী হতে পারি। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষের মত প্রকাশ করে। সে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করে তারা বাবার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে-বাবার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। এখানে আমার বিশেষ কি করণীয় আছে?

প্রশ্ন: আপনার ভারতে অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। এ ব্যাপারে সত্যিকার অবস্থাটা কি? উত্তর: আমি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছি। বহুলোক ১৫ই আগস্টের পর বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেছে। দেশ থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমার ভারতে অবস্থান নিয়ে কোনো কথা হওয়ার কারণ নেই।

প্রশ্ন: রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ভারতকেই বেছে নিলেন কেন? উত্তর: এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই। ১৫ই আগস্টের ঘটনার সময় আমরা জার্মানিতে ছিলাম। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নানা ধরনের কথা শুনেছি। প্রথমে খবর পেলাম মা ও রাসেল বেঁচে আছে। কিন্তু সঠিক অবস্থা জানতাম না; সঠিক অবস্থা জানার জন্য ভারতে ছুটে আসি। এতে দেশের কাছাকাছি আসা যায়। ভারতে আসার পর খবর পাই কেউই বেঁচে নেই। পরবর্তীতে ভারত আমার স্বামীকে একটা চাকরি দেয়। সেই থেকে এখানে আছি। এখানে জীবনযাপন সহজ। ঘরে কাজের লোক পাওয়া যায়। সবচে বড় কথা দেশীয় পরিবেশ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: সভানেত্রী নির্বাচনের পেছনে কি কারণ আছে? আপনার জন্য এ সিদ্ধান্তটা কি আকস্মিক নয়? উত্তর: সভানেত্রী বানানোর পেছনে একটাই কারণ। তা হচ্ছে বাবার প্রতি আওয়ামী লীগ কর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তবে সিদ্ধান্তটা, বলতে পারেন, হঠাৎ এসেছে। আমি সব সময় চিন্তা করতাম কর্মী হিসেবেই কাজ করবো। কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারলেই খুশি হতাম। তবু দায়িত্ব যখন দেয়া হয়েছে কর্তব্য করতেই হবে।

প্রশ্ন: ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের আগে আওয়ামী লীগের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? উত্তর: একটি পরিবারে পরিবার প্রধান মারা গেলে গোলমাল ও বিরোধ দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের মতো একটা পার্টিতে এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। এটা ভাঙন হতে পারে না। আওয়ামী লীগের কোনো কাগজ নেই-তাই সাংবাদিকরা যা খুশি লেখে। সত্যিকারভাবে আওয়ামী লীগে তেমন কোনো বিরোধ নেই। আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপ নেই। একটা গ্রুপ তা হলো বঙ্গবন্ধুর গ্রুপ।

প্রশ্ন: দেশে ফিরে যাওয়ার পর ১৫ই আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে আপনার ভূমিকা কি হবে? উত্তর: ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে বাংলার মানুষের কাছে, বিশ্ব মানবতার কাছে, বিশ্ব রাজনীতিবিদদের কাছে আমার একটাই আবেদন-হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত। হত্যাকারীর বিচার হওয়া উচিত। একটা সাধারণ হত্যারও বিচার হয়। তাই সে হত্যার কেন বিচার হবে না? একটা মেয়ে পিতৃ হত্যার, বোন হিসেবে ভ্রাতৃ হত্যার বিচার চায়, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নেতার হত্যার বিচার চায়। আমি মনে করি, সব রাজনৈতিক হত্যার বিচার হওয়া উচিত। আমি যেকোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করি। হত্যা একটা জঘন্য প্রক্রিয়া। কেন অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে?

প্রশ্ন: অন্যান্য বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক হত্যার জন্য দায়ী করে। এ অভিযোগের কি জবাব দেবেন? উত্তর: অন্যান্য বিরোধী দলের এ অভিযোগ সঠিক নয়। বরং আওয়ামী লীগ আমলেই আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় লোকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের হত্যা করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ দিয়েছে।

প্রশ্ন: ১৫ই আগস্টের ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজশকে দায়ী করে। আপনি কাকে দায়ী করেন? উত্তর: আমি বলবো যারা হত্যা করেছে, তারাই বলে বেড়াচ্ছে। এ সম্পর্কে জনগণই বলতে পারবেন। এ ধরনের কোনো মন্তব্য তদন্তসাপেক্ষ। পুরো তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে চাই না। বলবো, সত্য কখনো চাপা থাকে না-সত্য উদ্ঘাটিত হবেই।

প্রশ্ন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কি আবার ‘বাকশাল’ বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেবে? উত্তর: সেটা সময় মতো জানতে পারবেন। তবু বলবো বাকশাল একটা নতুন ব্যবস্থা। মানুষের কল্যাণের জন্যই এটা করা হয়েছে। এতে কারো সঙ্গে বিরোধ আছে বলে মনে করি না। তবে রাজনীতিতে সময় বুঝেই পদক্ষেপ নেয়া হয়। সময় ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে, কখন কি হবে? বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বাকশাল গঠিত হয়েছিল। ভবিষ্যতেও বাংলার মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তাই করা হবে।

প্রশ্ন: দেশে ফিরে যাওয়ার পর কি নির্বাচনের দাবি তুলবেন? উত্তর: এসব ব্যাপারে পার্টির সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু বলতে পারি না। তাছাড়া নির্বাচন করে কি হবে? নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে বোঝা যেত কারা ক্ষমতায় থাকে, কারা বিরোধী দলে? আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। কিন্তু কেউ যদি আপনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে কি করবেন?

প্রশ্ন: আপনি একটি ভারতীয় বার্তা সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন প্রয়োজনে আবার ’৭১-এর মতো ভারতের সাহায্য চাইবেন। এ বক্তব্য দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন? উত্তর: আমি এভাবে বলিনি। আমি বলেছি এই ’৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিভিন্ন বন্ধুদেশ থেকে নৈতিক সমর্থন পেয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের আন্দোলনে আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে এ বন্ধুদের নৈতিক সমর্থন আশা করি।

প্রশ্ন: এটা কি বিশেষভাবে ভারত-রাশিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? উত্তর: এটা সকল বন্ধু দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা করছেন। এর কি জবাব দেবেন? উত্তর: না, আমি কোনো সরকারবিরোধী প্রচারণা করছি না। এখানে যা বলছি, লন্ডনেও তাই বলেছি। কিন্তু ভারতে বসে কি করলাম সেটা কেন নজরে এলো?

প্রশ্ন: দেশে ফিরে এলে কি ৩২ নম্বরের পৈত্রিক বাড়িতেই উঠবেন? উত্তর: দেখি কি হয়? সরকার বলেছে, টুঙ্গীপাড়ার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। অথচ যতদূর জানি সেটা এখনো তালাবদ্ধ। ১৫ই আগস্টের পর সম্পত্তির ব্যাপারে খুব একটা খোঁজখবর নেইনি। ৩২ নম্বরের বাড়ি এখনো তালাবদ্ধ। ঐ বাড়ি সম্পর্কে কাগজ থেকেই যা কিছু জেনেছি, সরকার কিছু বলেননি।

প্রশ্ন: দেশে ফিরবেন কবে? সরাসরি কি ঢাকা ফিরবেন? উত্তর: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরবো। সরাসরিই ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে পরিকল্পনা এখনো বলতে পারছি না। সেটা উনি (স্বামী ড. ওয়াজেদ) বলতে পারবেন।

প্রশ্ন: বর্তমানে আপনার পরিচয় কি? রাজনীতিবিদ না গৃহিণী? উত্তর: আমি সবই। তবে প্রথমে মা-দুটো সন্তানের জননী। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর মেয়ে।

লেখকঃ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহফুজ উল্লাহ স্মৃতি পরিষদ

মানবকণ্ঠ/এসআরএস


poisha bazar