ভারত-পাকিস্তান রেষারেষির জেরে ক'দিন ধরে উত্তপ্ত উপমহাদেশের সব অঙ্গন। পাকিস্তান সুপার লিগ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ- দুই টুর্নামেন্ট চলছিল মহাসমারোহে। দুই টুর্নামেন্টেই প্রভাব পড়েছে। পিএসএলে (০৮ মে) এর ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর পিএসএলের বাকি অংশ আরব আমিরাতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে আইপিএলের সামনে বিকল্প কোনো ভেন্যু ছিল না। পিএসএল না হলে হয়ত আরব আমিরাতকেই বেছে নেওয়া যেত। তবে তার আগে পিসিবি আরব আমিরাত 'বুক' করে ফেললে ভারতের সামনে আইপিএল আয়োজনের বিকল্প কোনো উপায়ও নেই।

এক প্রকার বাধ্য হয়ে যেন আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা এলো বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে।

আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা আসায় তড়িঘড়ি করে ভারত ছাড়ছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। যদিও বিমানের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে বিদেশি নাগরিকরা দলে দলে ভারত ছেড়ে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্স তাদের রুট পরিবর্তন করেছে, কেউ কেউ ফ্লাইট বন্ধ করেছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪টি বিমানবন্দরও। ভারতের বড় এয়ারলাইন্সগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে। 

দুই দেশের চলমান সম্পর্কের জেরে একই অবস্থা পাকিস্তানেও। রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানারা পাকিস্তানে থাকতে আপত্তি জানালে পিসিবি তাৎক্ষণিকভাবে পিএসএলের বাকি অংশ আরব আমিরাতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানায়।

আইপিএলের জন্য বিকল্প কোনো ভেন্যুর খোঁজ আদৌ বিসিসিআই করেছিল কিনা, সে ব্যাপারে অবশ্য নীরবতা বজায় রাখা হচ্ছে।