Image description

দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান সমুদ্র সৈকতে সাগরে ডুবে মারা গেছেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দুই যুবক। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কর্মস্থল বন্ধ থাকায় বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র নেমে পানিতে তলিয়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতরা হলেন— বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে সাকিবুর রহমান সঞ্জিব (২৩) ও টেকপাঁড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে সৈকত হাসান শান্ত (২২)।

স্বজনরা জানান, কর্মসংস্থানের জন্য সাকিবুর রহমান সঞ্জিব ২০২০ সালে ইপিএস এর আওতায় বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। আর ৪ মাস আগে বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান সৈকত হাসান শান্ত। এর মধ্যে কিছুদিন আগে সঞ্জিব বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় কর্মস্থল দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সোমবার ছুটি থাকার সুবাধে অন্যান্য প্রবাসী বন্ধুদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন সাকিবুর রহমান সঞ্জিব। এসময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিকেল ৩টায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করেন। সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করার প্রায় ২ ঘণ্টা পর বিকাল ৫টায় একই স্থান হতে তীব্র ঢেউয়ের কারণে ভেসে যাওয়া সৈকত হাসান শান্ত (২২) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।

নিহত শান্তর বাবা মো. বাচ্চু মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সোমবার রাতে আমরা জানতে পারি শান্ত আর বেঁচে নেই। মাত্র ৪ মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যায় সে। কিন্ত সুখ হয়তো তার কপালে বেশিদিন ছিল না। আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় এই অনুরোধ করছি।’  

সাকিবুর রহমান সঞ্জিবের চাচা আতিকুর রহমান জীবন জানান, তারা সোমবার দুপুরে তারা জানতে পারেন সঞ্জিব বন্ধুদের সাথে সাগরে গোসল করতে নেমে স্রোতে সাথে তলিয়ে যায়। পরে সেখানের উদ্ধার কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। সরকারের প্রতি দাবি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সঞ্জিবের লাশ দেশে আনার জন্য সহযোগিতা করে। 

বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘দুই যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি এবং নিউজেও দেখেছি। কিন্তু পরিবারের পক্ষ হতে কেউ অবহিত করেন নি। পরিবারের পক্ষ হতে সহযোগিতা চাইলে সরকারিভাবে মরদেহ আনার জন্য সহযোগিতা করা হবে।’