manobkantha

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী

টানা তৃতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার বিকালে পল্টন সংলগ্ন ভলিবল স্টেডিয়ামে ১২টি দেশের এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা দলগুলোর অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্ট যে অন্যরকম মর্যাদা পেয়েছে তা বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।

কাবাডির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এটি। এর আগে প্রথম আসরে ৫টি ও গতবার সর্বোচ্চ ৮টি দল নিয়ে হয়েছিল। তাইতো কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়াম সেজেছে নানান ঢংয়ে। প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কাবাডি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক আসরের এটি তৃতীয় আয়োজন। প্রথম আয়োজনে ৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল, দ্বিতীয় আয়োজনে ৮টি এবং তৃতীয় আয়োজনে এবার ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করছে। এভাবে আমাদের আবহমান বাংলার গ্রামীণ একটি খেলাকে আমরা যে সফলভাবে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে পেরেছি এজন্য কাবাডির সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন এবং কাবাডির ফেডারেশনের অতীত ও বর্তমান কর্মকর্তারা নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা অন্তঃপ্রাণ। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সরকার খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা ভালোবাসেন, নিজে খেলা দেখেন, একজন উৎসাহী দর্শকের মতো উনি খেলা দেখেন। আমাদের খেলোয়াড়রা যখন কোনও সাফল্য পান তখন উদ্দীপ্ত হন; তার চেয়েও বেশি খুশি ও উদ্দীপ্ত হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা আমাদের সরকারের গত ১৪ বছরের খতিয়ান দেখুন; দেখতে পাবেন যে প্রত্যেকটি খেলাতে আমরা গত ১৪ বছর ধরে সাফল্য পেয়ে আসছি। সেটি ফুটবল বলুন, ক্রিকেট বলুন, কাবাডি বলুন। গত বছর বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সবক্ষেত্রে আমরা সাফল্য দেখিয়ে চলেছি। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’

টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১২টি দেশকে ধন্যবাদ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দীর্ঘভ্রমণ করে ১১টি দেশ বাংলাদেশে আসায় তাদের ধন্যবাদ। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভিন্ন একটি দেশে খেলতে আসা সহজসাধ্য বিষয় নয়। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার মতো দূর দেশের। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দল এনে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা অত্যন্ত দুঃসাহিক কাজ। এজন্য ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলগুলোর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টটি আরও বেশি মর্যাদাপূর্ণ হয়েছে। ’

দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নিয়েও কথাও বলেছেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে অতিথি দলগুলোকে ভ্রমণের আবেদন করেন, ‘বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি দেশ। আমাদের গর্ব করার মতো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার রয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষে আমি দলগুলোর প্রতি আবেদন রাখবো যে তারা আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখবে। আশা করি দলগুলো প্রতি বছরই এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে এবং তাদের অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এটি যেমন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার ব্যাপ্তি ছড়াবে, তেমনি টুর্নামেন্টে মর্যাদাও বাড়বে।’

প্রধান অতিথি ছাড়াও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি