
মধুখালীতে আমের মুকুল মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে
- ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৮

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার প্রতিটি বাড়ি ও আম বাগানগুলোতে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ। উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু আমের চাষ। পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের জেলা ফরিদপুরেই বসে তিনি লিখেছেন তার মামার বাড়ি কবিতা। আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা/ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে/ মামার বাড়ি যাই।
মধুমাসের স্বাদ নিতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। বর্তমানে আমের গাছের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও অন্যান্য ব্যক্তিরা। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। যেমন আম গাছে আমের মুকুল তেমনি লিচু গাছে লিচুর মুকুল।
সরেজমিনে উপজেলার নওপাড়া, মেগচামী, কামারখালী, জাহাপুর, রায়পুর, গাজনাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তার ধারে ও বাড়ির আঙিনার গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে কেবলই আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেঁয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন অনেকে।
উপজেলায় আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি অন্যতম। ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুলে ভরে গেছে পুরো গাছ।
বাগান মালিকরা জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভীর রহমান জানান, এ বছর প্রচুর আমের মুকুল এসেছে। গত বছর উপজেলাতে ৫৮০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছিল। এ বছরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় দিন দিন আমের বাগান সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগের থেকে বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান করার প্রবণতাও বেড়েছে। গাছে গাছে আমের মুকুল আসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি পরিচর্যা করতে হবে তা কৃষি অফিস সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের ফলন অনেক ভালো হবে।