
অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে চীনা ঋণের ফাঁদ
- ০১ মার্চ ২০২৩, ১৬:০৩

বিশ্বের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মানদণ্ডে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে এরই মধ্যে চীন স্থান করে নিয়েছে এবং আমেরিকাকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানটা দখলে নিতে চীনারা অব্যাহত চেষ্টা করে চলেছে। এ জন্য অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে অর্থনীতির সব শাখায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। বিশ্বের বাজারগুলো চীনের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটা অর্থনীতিতে আমেরিকাকে পেছনে ফেলে দেওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন চীনা নেতা শি জিন পিং।
শুধু অর্থনীতিই নয়, ক্রমবর্ধমানভাবে সামরিক বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি, ন্যাভাল ফোর্সের জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিন ইত্যাদি সংযোজন, নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমরাস্ত্রের আধুনিকায়ন পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন, বিপণন, নিজেদের ভ‚খণ্ডের বাইরে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে সক্ষম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীনের মূল লক্ষ্য হলো একুশ শতকের বিশ্বব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বে রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারণী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য দেশকে উপযোগী করে তোলা। অর্থাৎ একুশ শতকের, গেইম অব গ্রেট পাওয়ারস প্রতিযোগিতার জন্য সক্ষমতা অর্জন করে আমেরিকাকে টপকে বিশ্ব রঙ্গমঞ্চের একদম শীর্ষ নেতৃত্বের স্থানটা অলংকৃত করাই হলো চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়ে ইতিহাস লেখা হলে কতটা ইতিবাচক হিসেবে লেখা যাবে, তা নিয়ে অস্পষ্টতা থেকেই যায়। বেইজিংয়ের সঙ্গে বিশ্ববাজারের বড় অংশটিকে যুক্ত করতে উদীয়মান দেশগুলোতে অবকাঠামো নেটওয়ার্ক তৈরির প্রকল্প বিআরআই। এ জন্য এখন পর্যন্ত এক হাজার বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে চীন। কিন্তু শুরুতেই এ উদ্যোগে নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তহবিল খালি হওয়া, চলমান প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়া এবং গ্রহীতা দেশগুলো ঋণের ভারে ডুবতে বসা-এ ধরনের বিপত্তি ঘটছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু দেশ তাদের ঘাড়ের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে খোলাখুলি বিরোধিতা করছে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিআরআই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু কঠিন প্রশ্ন করার সময় এসেছে। প্রকল্পে স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীন তার পররাষ্ট্রনীতি কীভাবে সাজাচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ এক প্রশ্ন। এশিয়া থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত উদীয়মান বাজারগুলোতে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। ২০১০-এর দশকে বিআরআই যখন বাস্তব গতি পায়, এ সময়ে উদীয়মান বাজারগুলোর জন্য সামষ্টিক অর্থনীতির বয়ান ছিল অযৌক্তিক এক আশা। বিশ্ব অর্থনীতি ফোরাম থেকে শুরু করে অর্থনীতির কাগজ সবখানেই উদীয়মান বাজারগুলোকে পরবর্তী অর্থনৈতিক বিস্ময় বলে প্রচার করা হয়েছিল। স্মার্টফোন ও বিমান যোগাযোগের সহজলভ্যতার কারণে যে বৃহৎ কানেকটিভিটির সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে আশা করা হয়েছিল, কেনিয়া থেকে কাজাখস্তান সবখানেই নতুন এক মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান ঘটতে চলেছে।
দ্রুত নগরায়ণ-এমনকি দ্রুত জন্মহারের কারণে এই মধ্যবিত্তরাই বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এসব জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে কাছের পরাশক্তি হিসেবে চীন খুব দ্রুত এই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জোয়ারের মধ্যে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়। অবকাঠামো প্রকল্প, সস্তা ঋণ ও প্রযুক্তি বিনিয়োগ এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন নতুন অর্থনৈতিক মেরুকরণে যুক্ত হতে থাকে। টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সারা বিশ্বে একটি ঝড় তুলেছে। চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে টিকটক নিঃসন্দেহে বড় একটি অস্ত্র। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ভাষায়, বিআরআই এই শতাব্দীর প্রকল্প, অর্থাৎ চীনকে কেন্দ্রে রেখে বিশ্বব্যবস্থার ক্রম বদলে দেওয়াই এর উদ্দেশ্য। চীনের অর্থনীতির সাঁই সাঁই প্রবৃদ্ধির সেই যুগ যদি অক্ষুণœ থাকত, তাহলে কম সুদের ঋণ ছড়িয়ে চীনের পক্ষে বিশ্বের কেন্দ্র হয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব ছিল।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন যে ভাটা চলছে এবং কোভিড মহামারির কারণে চীনে যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তাতে দেশটির অর্থনীতি রীতিমতো ধুঁকছে। বিআরআই প্রকল্পের মান নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি ইকুয়েডর থেকে গাম্বিয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশে বিআরআই প্রকল্পের ত্রুটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ইকুয়েডরের ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানতম। সেটিতে এত বেশি ত্রæটি পাওয়া গেছে যে পুরো প্রকল্পটি বাতিল করতে হতে পারে। জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইকুয়েডরের বিদ্যুতের অন্যতম বড় উৎস হওয়ায়, প্রকল্পটি বাতিল হলে দেশটি বড় ঋণের মধ্যে ডুবে যেতে পারে।
বিআরআই প্রকল্পের এ ত্রুটি চীন সম্পর্কে প্রচলিত ঋণফাঁদ ধারণার পক্ষে আরও জোরালো ভিত্তি তৈরি হয়। এ ধারণার মূল বিষয় হলো, চীন জবরদস্তিমূলকভাবে ঋণ চাপিয়ে দেয়, ফলে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের জন্ম হয়। অনেকে এও সমালোচনা করেন, চীন ঋণ চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এতটাই আগ্রাসী যে কোনো দেশে তৈরি হওয়া অবকাঠামো কোনো কাজে লাগছে কি না কিংবা সেই প্রকল্প ব্যাপক পরিবেশ দূষিত করছে কি না, এই বিবেচনা একেবারেই করছে না। এ প্রেক্ষাপটে গত বছর চীন সরকার চুপিচুপি বিআরআই প্রকল্পের কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন এনেছে। চীনের নীতিনির্ধারকেরা নতুন প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়ন এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দর-কষাকষি করতে সম্মত হয়েছেন।
বিশ্ব অর্থনীতি যদি একটি দীর্ঘস্থায়ী মন্দার মধ্যে প্রবেশ করে এবং চীনের প্রকল্পগুলো যদি ব্যর্থ হতেই থাকে, তাহলে বেইজিংয়ের এই পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রাখতে বাধ্য। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ অর্থনীতিবিদ সেবাস্তিয়ান হর্ন ও কারমেন রেইনহার্ট বলেছেন, যেসব দেশ অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে, তারা যে বিদেশি ঋণ নিয়েছে, তার ৬০ শতাংশই চীনের কাছ থেকে নেওয়া। ২০১০ সালের সেটি ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। তাই বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প হিসেবে চীনের এ বিআরআই প্রজেক্টকে অভিহিত করা হয়।
চীনের এ প্রকল্প এমন এক সময়ে বাস্তবাতি হচ্ছে, যখন পশ্চিমা অর্থনৈতিক শক্তিগুলো চীনের অর্থনৈতিক সক্ষমতার কাছে একটু একটু করে জায়গা হারাচ্ছে। পাশাপাশি তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে চীনের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করা যুক্তরাষ্ট্র ও তার সমর্থনপুষ্ট পূর্ব এশিয়ার মিত্রদের বিরুদ্ধেও বিআরআইকে ব্যবহার করছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত ইউরোপকে পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাকে মার্শাল প্ল্যান নামে অভিহিত করা হয়। শি জিন পিং এর বিআরআই প্রকল্পকে চীনের মার্শাল প্ল্যান হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পরিধির দিক থেকে যা মার্শাল প্ল্যানের থেকেও বিস্তৃত। মার্শাল প্ল্যান ছিল কেবল ইউরোপকে কেন্দ্র করে। আর বেল্ট অ্যান্ড রোড বিস্তৃত এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা জুড়ে। এই ৩টি ভিন্ন ভিন্ন রুট বা বেল্ট ধরে চীন বিআরআই বাস্তবায়ন করছে। এগুলোকে উত্তর রুট, কেন্দ্রীয় রুট ও দক্ষিণ রুট হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
চীন থেকে শুরু হয়ে মধ্য এশিয়া হয়ে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়ক ও রেলরুটকে উত্তর রুট হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। মধ্য এশিয়ার ভেতর দিয়ে পশ্চিম এশিয়া, পারস্য উপসাগর এবং ভূমধ্যসাগরের রুটকে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় রুট। এছাড়া সমুদ্রপথে চীন থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া হয়ে ভারত মহাসাগরের পথ ধরে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করা রুটকে বলা হচ্ছে দক্ষিণ রুট। এশিয়া ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীনের এ বিআরআই প্রকল্প ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৮ সালে চীনের রাজধানী বেইজিংএ অনুষ্ঠিত হওয়া রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামের দুইদিন ব্যাপী সম্মেলনে। এ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দিয়েছিলেন। চায়না পাওয়ারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের তথ্য অনুযায়ী, চীনের এ বিআরআই প্রকল্পে বিশ্বের ১৪৮টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ দেশগুলোর জিডিপি ২৯ লাখ কোটি ডলার। এ দেশ গুলোতে বাস করে ৪৬০ কোটি মানুষ। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ। পাশাপাশি বিআরআইভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে চীনের ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। প্রকল্পটি চীনের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুবিধা বয়ে এনেছে। চীনের ক্রমবর্ধমান রফতানির বাজার এ উদ্যোগের পথ ধরে আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। পাশা পাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে চীনের মুদ্রা রেনমিনবির অবস্থান আরো জোরদার হয়েছে। এছাড়াও চীন আরও অন্যান্য সুবিধা অর্জন করেছে যা খুব একটা আলোচিত হয়নি। যেমন-চীনের সিমেন্ট, স্টিল এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামো খাতসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছে। অপরদিকে অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চীনের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে অলস পুঁজি জমেছিল। তারা বিআরআইভুক্ত দেশগুলোতে সে পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে তারা।
প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং চীনের সঙ্গে বাকি বিশ্বের যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে বিআরআইকে অভিহিত করলেও বিশ্বে চীনাদের প্রভাব বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য বলে পশ্চিমা মহলে সমালোচনা রয়েছে। কিন্ত চীনা কর্তৃপক্ষ ২০৪৯ সালের মধ্যে দেশকে নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত শক্তিতে পরিণত করবে বলে উল্লেখ করছে। চীনারা শুধু পরাশক্তি হতে চায় না- তারা বিশ্বাস করে যে তারা একক হওয়ার যোগ্য, বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া তাদের ভাগ্য। চীনা নেতারা নিশ্চিত যে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী আমেরিকান অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে এবং একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় রূপান্তর আমরা এখনই প্রত্যক্ষ করছি, যা শেষ পর্যন্ত চীনকে চালকের আসনে বসাবে। গত ৪০ বছরে চীন সত্যিই দর্শনীয় এবং সত্যিকার অর্থে অভ‚তপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রশ্ন হলো, চীন কি এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে? বিশ্ব নেতৃত্বে যেতে হলে চীনকে অন্তত দু’টি বড় বাধা অতিক্রম করতে হবে। প্রথমটি মধ্যম আয়ের ফাঁদ আর দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা দাবি করার জন্য বেইজিংয়ের সক্ষমতা সম্পর্কিত-কিন্ডলবার্গার ফাঁদ।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট